সরেজমিন বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, কারও মুখে অক্সিজেন মাস্ক, কারও চলছে নেবুলাইজেশন, আর হাতে ক্যানোলা। হাসপাতালের বেডে কঠিন সময় পার করছে কোমলমতিরা। ভর্তি হওয়া এসব শিশুর কারও বয়স পেরিয়েছে সবে ২ বছর। কেউ আবার মাত্র কয়েক মাস হলো এসেছে পৃথিবীতে। অর্থাৎ অধিকাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। জন্মের পর বেশিরভাগ সময়ই এদের কেটেছে হাসপাতালে।
গবেষণা বলছে, দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। যাদের ২৮ শতাংশকেই হেরে যেতে হয় এ রোগের কাছে। আইসিডিডিআর,বি এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর দেশে প্রায় ২৪ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়। আর হাসপাতালে ভর্তি হয় প্রায় ৭ লাখ।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়ায় ২০ দিনে ১২ শিশুর মৃত্যু
চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের মধ্যে ভয়াবহ রূপ নেয়া নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতার পাশাপাশি জোর দিতে হবে টিকার ওপর।
তবে শঙ্কার বিষয় হলো দেশে যে প্রচলিত টিকা আছে ব্যাকটেরিয়ার ধরন বদলে যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে সুরক্ষা দিতে পারছে না সেটি। তাই আরও কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন প্রজন্মের পিসিভি টিকা নেয়া জরুরি বলে জানান তারা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আয়শা আক্তার সময় সংবাদ বলেন, এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য শুরুতে যেসব শিশুদের মানে শিশুকালে এবং বয়স্কদের যে ভ্যাকসিন দেয়া আছে, সেটা বেশ কাজ করে। যাদের মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট হয়, ঠান্ডা লেগে যায়, সংক্রমণ হয়ে থাকে তাদের বছরে যে টিকা দেয়া হয়, সেটাও কিন্তু অনেকটা ভালো কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সারাবন তহুরা বলেন, পিসিভি টিকা টেনটা আসলে কতটা কার্যকর, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। যেখানে নতুন কিছু চলে এসেছে সেটা আমাদের ইপিআইতে নিয়ে আসতে পারি কি না সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
শুধু শিশুরা নয়, নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে আছেন বয়স্করাও। তাই ৬০ বছরের বেশি বয়স হলে ও দীর্ঘ মেয়াদি কোনো রোগে ভুগলে বাড়তি সতর্কতায় থাকতে বলছেন চিকিৎসকরাও।
ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে নিউমোনিয়া আক্রান্তর আশঙ্কা বেশি জানিয়ে শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·