অন্যদিকে ২০১৯ সালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাড়ে পাঁচ বছর পর ফ্রান্সের নটরডেম গির্জায় সমবেত হন যিশু ভক্তরা। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সেও।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের কৎজিয়া স্কয়ারে জড়ো হন হাজারো দর্শনার্থী ও স্থানীয়রা। ফানুস ওড়ানোর পাশাপাশি ছবি তুলে নিজেদের মতো আনন্দ উদযাপন করেন তারা। এদিন পরিবার পরিজন, বন্ধু, আত্মীয় স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করেন আগতরা। শান্তি কামনা করেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বাসিন্দাদের জন্য।
অন্যদিকে পুনরায় চালু হওয়ার পর ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে ক্রিসমাসের প্রার্থনা হয় ফ্রান্সের নটর ডেম ক্যাথেড্রালে। ২০১৯ সালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাড়ে পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো সেখানে উপস্থিত হতে পেরে খুশি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা।
আরও পড়ুন: আজ বড়দিন, গির্জায় গির্জায় চলছে প্রার্থনা
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে মঙ্গলবার সকালে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কিয়েভের গির্জাগুলোতে সমবেত হন ইউক্রেনীয়রা। মোমবাতি জ্বালিয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে ঈশ্বরের কাছে স্বাভাবিক জীবনের প্রার্থনা করেন তারা।
বাসিন্দাদের মতে, ক্রিসমাস সব ইউক্রেনীয়দের একত্রিত এবং লড়াই করার সাহস যোগায়। লড়াই করে জেতার প্রত্যাশা তাদের।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে চার্চে সেনাপ্রধান, দিলেন সম্প্রীতির বার্তা
এদিকে ইতালির ভ্যাটিকান সিটিতে বড়দিনের উদযাপন শুরু হয় ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিসের হাতে। প্রার্থনার উদ্দেশ্যে সেন্ট পিটার ব্যাসিলিকা গির্জায় সমবেত হন হাজারো মানুষ। এ সময় বিশ্বে চলমান যুদ্ধ, আগ্রাসনের শিকার হওয়া মানুষের কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাইকে বৃহৎ স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান।