এ সময় তিনি ঢাকা-১৬ (রূপনগর-পল্লবী) আসনের প্রাথমিক প্রার্থী হিসেবে সাবেক ফুটবলার আমিনুল হকের নাম ঘোষণা করেন।
বিশ্বফুটবলের মানচিত্রে বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া দায়। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলেও সাফল্য ধরা দিয়েছে অল্পই। কিন্তু দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে গুটিকতক তারকা বাংলাদেশকে পরিচিতি এনে দিয়েছেন, তাদের তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে আমিনুল হকের নাম। তিনি যে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ করে আমিনুল দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলেন রাজনীতিবিদ হিসেবে। যোগ দিয়েছিলেন বিএনপিতে। তারকা এ ফুটবলার বর্তমানে দলের ক্রীড়া সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আহ্বায়কের পদে রয়েছেন।
সর্বকালের সেরা বাংলাদেশি গোলরক্ষক হিসেবে অবিহিত করা হয় আমিনুলকে। ছবি: সংগৃহীত
পুরুষদের ফুটবলে বাংলাদেশের প্রায় সব সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমিনুলের নাম। সাফ ফুটবলে বাংলাদেশের একমাত্র শিরোপার নায়কও তিনিই। ফাইনালে মালদ্বীপের সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিতভাবে শেষ হলে ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে প্রথম ও শেষবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় চড়িয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে গোলবারের নিচে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় ছিলেন আমিনুল।
আরও পড়ুন: হামজাকে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব দেওয়ার পরামর্শ আমিনুলের
এসএ গেমসেও ফুটবল ইভেন্টে শেষ শিরোপা এসেছিল আমিনুলের নেতৃত্বেই। ২০১০ সালে এসএ গেমসের ফাইনালে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এর আগে ১৯৯৯ সালে সাফ গেমসেও বাংলাদেশের শিরোপাজয়ের সঙ্গী ছিলেন এই গোলরক্ষক।
খেলোয়াড়ি জীবনে দেশকে দু'হাত ভরে দেয়া এই ফুটবলার রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন প্রতিকূল সময়ে। বাকিরা যখন ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে ক্ষমতার সঙ্গী হয়েছেন, আমিনুল নাম লিখিয়েছিলেন বিরোধী শিবিরে। বিএনপির রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে শিকার হয়েছেন নির্যাতনের। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেমে তৎকালীন সরকারের পেটোয়া বাহিনীর হাতে রক্তাক্ত হয়েছেন। যে হাতে দেশকে এনে দিয়েছিলেন সাফল্য, সে হাতেই উঠেছিল হাতকড়া। করেছেন কারাবরণ।
শট ঠেকাতে আমিনুলের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন: এক নজরে দেখে নিন বিএনপির প্রার্থী তালিকা
আমিনুল হক ছিলেন ক্যারিশম্যাটিক ফুটবলার। অনেকের মতে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার সেরা তো বটেই এশিয়ার যেকোনো দলে খেলার যোগ্যতা রাখতেন। ঢাকা মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, শেখ জামালের মতো দেশের সেরা ক্লাবগুলোর হয়ে খেলা আমিনুলের ভাগ্য সহায় থাকলে এশিয়ার নামী কোনো ক্লাবের হয়েও হয়ত খেলা হতো। ২০০৪ সালে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড তার প্রতি আগ্রহ দেখালেও যোগাযোগের সমস্যার কারণে সে চুক্তি আর আগায়নি।
ফুটবলে খ্যাতির চূড়ায় ওঠা, প্রতিবাদী রাজনীতিবিদ আমিনুল এবার রাজনীতির মাঠে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন কি–না তা দেখার পালা।

৩ সপ্তাহ আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·