শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাবুরহাট-মতলব-পেন্নাই সড়কের পাশে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ওই বাজারে এক অগ্নিকাণ্ডে ১২টি দোকান পুড়ে যায়।
আগুন লাগার খবর পেয়ে মতলব ও চাঁদপুর সদর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় ফার্মেসি, হার্ডওয়্যার, মুদি দোকান, ফলের দোকানসহ অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোরশেদ হোসেন জানান, আগুন কীভাবে লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, নবীর স্টোর নামের একটি হার্ডওয়্যার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে আগুনে পুড়ে গেছে ১২টি দোকান
স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম খোকন জানান, ‘সকাল ৭টার পর হঠাৎ করেই আগুন লাগে। কয়েকটি দোকানে দাহ্য পদার্থ থাকায় মুহূর্তের মধ্যেই তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।’
ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর অধিকাংশ দোকান মালিক নতুন করে মালামাল তুলেছিলেন। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বিক্রির নগদ অর্থও দোকানে রেখে গিয়েছিলেন তারা। আগুনে সব কিছু পুড়ে যাওয়ায় এখন তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘আগুনে অন্তত ছয় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে তারা পথে বসার উপক্রম হয়েছেন। কয়েক মাস আগেও একই বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১২টি দোকান পুড়ে গিয়েছিল।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের পর মুন্সিরহাট বাজারে মানুষের ভিড়ের কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। এতে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী বাবুরহাট-মতলব-পেন্নাই সড়কে যাত্রীদের প্রায় তিন ঘণ্টা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
]]>