সোমবার (২৪ মার্চ) ভোরে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করেন কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ । সেই সঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালককেও আটক করা হয়।
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম ও বাশির আলী এবং মাইক্রোবাসচালক মেহেদী হাসান।
আরও পড়ুন: দুই পুলিশ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, রোববার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে বগুড়ার ধুনটের দিঘলকান্দী গ্রামের দুই ফিল্যান্সার রাব্বী ও জাহাঙ্গীরকে একটি মোটরসাইকেল সহ ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে আটক করা হয় ৷ পরে তাদের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের শেরপুরের মির্জাপুরে এনে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ দাবি করা হয় ১২ লাখ টাকা। দর কষাকষির একপর্যায়ে রাব্বির পরিবারের কাছ থেকে দুই লাখ ও মোবাইল ব্যাংকিক থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন পুলিশ সদস্যরা ৷
সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে মোটরসাইকেলসহ রাব্বি ও জাহাঙ্গীরকে মির্জাপুর এলাকাতেই ছেড়ে দেন তারা। পরে মাইক্রোবাসে করে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়ে রাজশাহীর দিকে যেতে থাকে। তবে রাব্বীর স্বজনেরা মোটরসাইকেলে করে তাদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্ত রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫ সদস্যকে আটক করা হয় ৷
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ের ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা
ওই সময় মাইক্রোবাসে থাকা আরেক পুলিশ সদস্য আব্দুল ওহাব পালিয়ে যান ৷
ভুক্তভোগীদের দাবি, পুলিশ সদস্য ওহাব তাদের প্রতিবেশি ও রাজশাহীতে কর্মরত। তারই প্ররোচনায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
এসপি জেদান আল মুসা জানান, ধুনট উপজেলার বাসিন্দা ওয়াহাব নামের একজন কনস্টেবল আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত। তিনি ছুটি নিয়ে দুই দিন আগে বাড়িতে আসেন। তার তথ্যমতেই রাজশাহী থেকে পাঁচজন ধুনটে আসেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। হাইওয়ে পুলিশ তাদের ধুনট থানায় হস্তান্তর করেছে। আটকদের নামে ভুক্তভোগীদের একজন বাদী হয়ে অপহরণ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
]]>