দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে অবতরণের সময় জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, বিমানটিতে এ দুজন ছাড়া বাকি আর কেউ বেঁচে নেই।
আরও পড়ুন: ‘২ জন ছাড়া সম্ভবত কেউ বেঁচে নেই’, দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমানটি কীভাবে বিধ্বস্ত হলো?
অগ্নিনির্বাপন সংস্থার প্রধান লি জিয়ং-হিউন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দমকল বাহিনীর ধারণা পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিমানের পেছনের অংশ অক্ষত দেখালেও এর বাকি অংশ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, বিমানটি রানওয়েতে নামার পর প্রচণ্ড গতিতে ছুটে গিয়ে একটি দেয়ালে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। বিধ্বস্ত বিমানটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
সকাল ৮টা ৩০ মিটিটে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের কথা ছিল বিমানটির। পাইলট বিমানের ক্রটি বুঝতে পেরে প্রথমবার অবতরণের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন। পাইলট আকাশের উপরে উঠে আরেকটি গো-অ্যারাউন্ড করে। কর্তৃপক্ষের মতে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: বিমান বিধ্বস্ত, দুর্ঘটনাস্থলে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
ল্যান্ডিং গিয়ারের ত্রুটির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রাথমিক তদন্তে পাখির আঘাতের প্রমান পাওয়া গেছে। বিমানটি পাখির ঝাঁকের সাথে সংঘর্ষ হয় এবং পাখি ইঞ্জিনে প্রবেশ করেছে ধারণ করা হচ্ছে।
এদিকে মুয়ান বিমানবন্দরে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সমস্ত অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।