আমেরিকার স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইট হেলথ লাইনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দীর্ঘ সময় বৈদ্যুতিক ডিভাইসের সংস্পর্শে থাকলে জটিল চর্মরোগ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। চিকিৎসা শাস্ত্রে যার নাম ‘টোস্টেট স্কিন সিনড্রোম’।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকে প্রচণ্ড তাপ লাগলে ত্বকের এ সমস্যা দেখা দেয়। কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলছেন, অতি তাপে মেলানিন রঞ্জক নষ্ট হতে শুরু করে। এরপর সেই জায়গার রক্তজালক সঙ্কুচিত হয়।
ত্বক পুড়ে গিয়ে কালচে হয়ে যায়। অনেক সময়ে গুঁটি গুঁটি ফুসকুড়ি বা র্যাশও বের হয়। ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক, নির্জীব। ওষুধেও অনেক সময় এ সমস্যার সমাধান মেলে না।
গবেষকরা বলছেন, হাতে দীর্ঘ সময় মোবাইল নিয়ে চালালে, কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করলে এমনকি কম্পিউটারে কাজ করার সময় কি-বোর্ড ও মাউসে হাত রেখে দেয়ার অভ্যাসে ত্বকে দেখা দিতে পারে এ সমস্যা।

দীর্ঘ সময় চুলার পাশে দাঁড়িয়ে বা বসে রান্নার কারণেও ‘টোস্টেট স্কিন সিনড্রোম’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অধিক তাপে রান্না করায় গৃহিণীদের হাত ও মুখের ত্বকে সবার আগে এ সমস্যা দেখা দিতে শুরু হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকের এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে একটানা বৈদ্যুতিন যন্ত্র শরীরের সংস্পর্শে রাখা থেকে বিরত থাকুন। ল্যাপটপ যদি পায়ের উপর নিয়ে কাজ করতেই হয়, তা হলে টানা ৩০ মিনিটের বেশি করবেন না। হট প্যাড ব্যবহার করলে তার তাপমাত্রা কমিয়ে রাখুন।
আরও পড়ুন: হার্ট ব্লকের লক্ষণ ও বাঁচার উপায় কী?
হেয়ার ড্রায়ার, হট বোতল ইত্যাদির ব্যবহার কমান। চুলায় দীর্ঘ সময় রান্না করা থেকে বিরত থাকুন। ত্বকে দীর্ঘ সময় পানির ঝাপটা দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কাজের প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করলে ৩০ মিনিট পরপর ৫ মিনিট বিরতি নিন।
আরও পড়ুন: হার্টে রিং পরালে ঝুঁকি কমে?
মনে রাখবেন, ‘টোস্টেট স্কিন সিনড্রোম’ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কেননা ত্বকের এ অসুখ অনেক সময় মরণব্যাধি ক্যানসারেরও কারণ হয়ে উঠতে পারে।
]]>