দিল্লি-রাজস্থান লড়াইয়ে শেষ ওভারের নায়ক স্টার্ক, সুপার ওভারে জয় দিল্লির

১ সপ্তাহে আগে
২০তম ওভারে জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৯ রান। ক্রিজে দুই বিস্ফোরক ব্যাটার শিমরন হেটমেয়ার ও ধ্রুব জুরেল। রাজস্থান রয়্যালসের জয়ের পক্ষেই বাজি ধরবেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু ডেথ ওভারে মিচেল স্টার্ককে খেলাটা এতোটাও সহজ নয়। দিল্লি ক্যাপিটালসের ভরসার জায়গা ছিল স্টার্কই। ভরসার প্রতিদান স্টার্ক দিয়েছেন একের পর এক ইয়োর্কারে। অজি ফাস্ট বোলারের ওভার থেকে রাজস্থান তুলতে পারল ৮ রান! তাতে ম্যাচ শেষ হলও টাইয়ে। এরপর সুপার ওভারে জয়ের হাসি স্টার্কের দিল্লিরই।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) আইপিএলের এবারের আসরের ৩২তম ম্যাচে সুপার ওভারে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।


দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করা দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে রাজস্থান ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুললে ম্যাচ টাই হয়। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।


সুপার ওভারে রাজস্থান ২ উইকেট হারিয়ে ১১ রান সংগ্রহ করে। দিল্লি ৪ বলেই সেই রান তুলে ফেলে।


আরও পড়ুন: সন্দীপ আইপিএলে এক ওভারে যৌথভাবে সর্বোচ্চ বল করার ইতিহাসে নাম লেখালেন


১৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৩ রান তুলে ফেলে। কিন্তু ৬১ রানের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ঝড় তোলা সাঞ্জু স্যামসন। মাঠ ছাড়ার আগে ১৯ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩১ রান করেন রাজস্থানের অধিনায়ক।


রিয়ান পরাগ ১১ বলে ৮ রান করে বিদায় নিয়েও অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল ও নিতিশ রানা।


১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হওয়ার আগে জয়সওয়াল ৩৭ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৫১ রান করেন। রাজস্থানের দলীয় সংগ্রহ তখন ১১২ রান। ৪৬ বলে তাদের জয়ের জন্য দরকার ৭৭ রান।


নিতিশ রানার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ঠিক পথেই হাঁটছিল রাজস্থান। অর্ধশতক পূর্ণ করেন নিতিশ। কিন্তু এরপরেই ছন্দপতন। স্টার্কের বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫১ রান করেন তিনি। রাজস্থানের রান তখন ১৭.৪ ওভারে ১৬১। সেই ওভারের বাকি দুই বলে আসে ৫ রান।  শেষ  দুই ওভারে দরকার ২৩ রান।


ধ্রুব জুরেল ও শিমরন হেটমেয়ার মোহিত শর্মার করা ১৯তম ওভারে ১৪ নেন। ফলে স্টার্কের শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৯ রান দরকার ছিল রাজস্থানের।


স্টার্কের প্রথম দুই বলে সিঙেল নেন হেটমেয়ার ও জুরেল। তৃতীয় বলে হেটমেয়ার ২ রান নিলে শেষ তিন বলে দরকার পড়ে মাত্র ৫ রান। চতুর্থ বলে হেটমেয়ার আরও একটি ডাবল নেন। শেষ দুই বলে রাজস্থানের দরকার ছিল ৩ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে হেটমেয়ার ১ রান নিতে পারেন। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ২ রান, ১ রান নিতে পারলেও দ্বিতীয় রান নেয়ার সময় রানআউট হয়ে যান জুরেল। তাতে দুই দলের স্কোর সমান হয়ে যায়।


আরও পড়ুন: জুয়াড়ির সন্ধান পেয়ে আইপিএলের দলগুলোকে বিসিসিআই যে নির্দেশনা দিল


সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে রাজস্থান। স্টার্কের করা সুপার ওভারে প্রথম ৩ বলে হেটমেয়ার ৫ রান নেন। চতুর্থ ডেলিভারিটি নো বল হলে আর তাতে বাউন্ডারি আসলে ৩ বলেই ১০ রান জমা হয় রাজস্থানের স্কোরকার্ডে। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম বলে রায়ান পরাগ ও জয়সওয়াল আর ১ রান যোগ করেই রানআউট হলে  রাজস্থান বাকি এক বল খেলার সুযোগ পায়নি।


জবাবে সন্দীপ শর্মার করা প্রথম ৪ বলেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন কেএল রাহুল ও ত্রিস্তান স্ট্যাবস। রাহুল প্রথম ৩ বলে ৭ রান তোলেন। চতুর্থ বলে স্ট্যাবস ছক্কা হাঁকান।


এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা দিল্লির পক্ষে ৩৭ বলে  সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন অভিষেক পোরেল। কেএল রাহুল ৩২ বলে ৩৮, স্ট্যাবস ও অক্ষর প্যাটেল যথাক্রমে ১৮ ও ১৪ বলে ৩৪ রান করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন