মহেশপুর উপজেলার আজমপুর। এই গ্রামের দিনমজুর খোকন বিশ্বাসের ছোট্ট টিনের ঘরে দুটি ফ্যান, দুটি বাল্ব ও একটি ফ্রিজ ব্যবহার হয়। তবু চলতি মাসে তার হাতে এসেছে ৩৩ হাজার ৪৫০ টাকার বিল। এমন বিল দেখে হতভম্ব খোকন বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের ব্যবহার তো আগের মতোই, তবু বিল এলো লাখপতির মতো। এখন কীভাবে দেব এত টাকা?’
একই অবস্থার শিকার রামচন্দ্রপুর, বলিভদ্রপুর, কাশিপুর, যাদবপুর ও দত্তনগর এলাকার অসংখ্য গ্রাহক। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। কারও এক হাজার টাকার জায়গায় এসেছে ৮ হাজার, কারও ৩ হাজার টাকার জায়গায় ১৫ হাজার। ফলে গ্রামেগঞ্জে এখন চায়ের দোকান থেকে ঘর পর্যন্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ‘বিদ্যুৎ বিল’।

মহেশপুর ভৈরবা বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার দোকানে শুধু একটি ফ্যান আর দুইটি লাইট চলে। সাধারণত বিল আসে এক হাজার টাকার মতো, এবার এসেছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। অফিসে গেলে বলে তদন্ত চলছে। কিন্তু ততদিনে লাইন কেটে দেয়, তখন আমরা কোথায় যাব?’
আরও পড়ুন: ৬ বছর ধরে বন্ধ পানি শোধনাগার, মহেশপুরে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে ‘টিউবওয়েলের পানি’
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিটার রিডিং না নিয়ে গড় হিসাবের ভিত্তিতে বিল তৈরি করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলেও কোনো কার্যকর সমাধান মিলছে না। কেউ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, কেউ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন তবু বিলের অস্বাভাবিকতা থেকে মুক্তি নেই।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের গৃহবধূ রহিমা খাতুন বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসে গেলে বলে মিটারে সমস্যা, আবার কেউ বলে ব্যবহার বেশি। কিন্তু ঘরে তো নতুন কিছু লাগাইনি।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহেশপুর জোনাল অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী অভিজিৎ সাহা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। কিছু গ্রাহকের বিল অস্বাভাবিক বেশি এসেছে-তদন্ত চলছে। যদি মিটারে ত্রুটি পাওয়া যায় বা রিডিংয়ে ভুল হয়ে থাকে, সংশোধন করা হবে। আর কেউ অনিয়মে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·