বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মো. সারোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম, রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক শরীফুল ইসলাম, মাসুম পারভেজ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এনটিআরসিএ ধারাবাহিকভাবে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, বিশেষ, চতুর্থ ও পঞ্চম গণ-বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে আসছে। প্রথম পর্যায়ে নিয়োগ পরিপত্র ২০১৫-এর ৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী একজন শিক্ষক পরবর্তী যেকোনো গণ-বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেরিট পজিশন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারতেন। কিন্তু হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন সংক্রান্ত নিয়োগ পরিপত্র স্থগিত হওয়ায় সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদেরও আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রক্ত দিয়ে ব্যানার লিখে রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
তারা বলেন, সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কষ্টের কথা উপলব্ধি করতে পেরে বিগত সরকারের অধীনস্ত কর্মকর্তারা শূন্য পদে বদলির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করলে তা জানতে পেরে ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু কুচক্রী শিক্ষকের যোগ সাজসে তা বন্ধ হয়ে গত ১ আগস্ট পারস্পারিক বদলির প্রজ্ঞাপন জারি হয়, যার মাধ্যমে ১ শতাংশ শিক্ষকও বদলির সুফলে উপকৃত হতে পারতেন না। তবে দীর্ঘদিনের চক্রান্ত আর নির্যাতনের পরিসমাপ্তি ঘটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগমনে।
আরও পড়ুন: গুপ্তহত্যা বন্ধে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দাবি বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের
শূন্যপদে বদলি শিক্ষকদের একটি যৌক্তিক দাবি, প্রাণের দাবি উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএ’র সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণ-বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ, যার বর্তমান নাম বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ ২০২২ সাল থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণ-বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলির দাবিতে গত ২৫ ও ২৬ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সামনে একটি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালনের প্রেক্ষিতে ২৭ আগস্ট শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি দিলে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি হিসেবে তিনি তা মেনে নেন এবং শূন্যপদের বিপরীতে বদলি চালুর লক্ষ্যে দ্রুত প্রজ্ঞাপন প্রকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। শিক্ষা উপদেষ্টা আদেশ দেয়ার পরও পরিপত্র জারির বিষয়ে বিলম্ব হলে গত ৯ অক্টোবর শাহবাগে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলকে ডেকে নেয়া হয় এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়, যার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে শূন্যপদে বদলির প্রজ্ঞাপনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও শূন্যপদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় বদলি প্রত্যাশী শিক্ষকরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন। ১৯ ডিসেম্বর ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবস্থানকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শূন্যপদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারির আলোচনান্তে শূন্যপদে বদলির সিদ্ধান্ত হয় এবং শূন্যপদের বিপরীতে প্রজ্ঞাপন জারি করেন, যা ছিল এনটিআরসিএ’র সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি।
]]>