দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া করা কি জায়েজ?

১ সপ্তাহে আগে
প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুর পর কবর হচ্ছে আখিরাতের প্রথম মঞ্জিল। যারা এ মঞ্জিল থেকে সহজে মুক্তি পাবেন তাদের বাকি মঞ্জিলগুলো সহজ ও আরামদায়ক হবে। আর যারা এ মঞ্জিলে শাস্তি পাবেন তাদের পরবর্তী মঞ্জিলগুলো আরও ভয়ংকর হবে।

অনেকে জানতে চান, মৃতব্যক্তি দাফনের পর সম্মিলিত দোয়া করা কি জায়েজ?

 

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, মৃতব্যক্তিকে দাফন করার পর কবরের পাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তার জন্য রহমত ও মাগফেরাত প্রার্থনা করা, ফেরেশতাদের প্রশ্নের জবাবে তার ইমানি দৃঢ়তা প্রার্থনা করা মুস্তাহাব। একাকী বা সম্মিলিত দুভাবেই দোয়া করা যাবে। তবে কবর সামনে রেখে দোয়া করবে না, বরং কবর থেকে সরে গিয়ে কবরকে পেছনে বা পাশে রেখে কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা যাবে।

 

আরও পড়ুন: যে ৩ শ্রেণীর ব্যক্তি জান্নাতে নবীজির সঙ্গে থাকবেন

 

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাফনের পর মৃতের জন্য দোয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে বর্ণিত রয়েছে। হজরত ওসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর সেখানে অবস্থান করতেন এবং বলতেন, ‘তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। তার জন্য দৃঢ়তার দোয়া করো। এখনই তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (আবু দাউদ: ৩২১৩)

 

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) আবদুল্লাহ যুলবিজাদাইনের (রা.) দাফনের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তার দাফন থেকে অবসর হলেন, তখন দুই হাত তুলে কেবলামুখী হয়ে তার জন্য দোয়া করেন যে, ‘হে আল্লাহ! আমি তার উপর সন্তুষ্ট, আপনিও তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান।’ (মুসনাদে বাযযার: ১৭০৬)

 

আরও পড়ুন: ঈসা (আ.) উত্তম রিজিক পেতে যেভাবে দোয়া করেছেন


আরেক হাদিসে এসেছে, হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) তার মৃত্যুর সময় অছিয়ত করেছিলেন, তাকে দাফন করার পর কবরের পাশে অবস্থান করে দোয়া করতে। আবদুর রহমান ইবনে শামাসাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে মৃত্যুর সময় আমর ইবনুল আস (রা.) বলেছিলেন, 

 

আমি যখন মারা যাব, তখন যেন কোনো বিলাপকারিণী অথবা আগুন আমার জানাজার সাথে না থাকে। আমাকে যখন দাফন করবে তখন আমার ওপর আস্তে আস্তে মাটি ফেলবে এবং দাফনের পর একটি উট জবাই করে তার মাংস বণ্টন করতে যতক্ষণ সময় লাগে, ততক্ষণ আমার কবরের পাশে অবস্থান করবে। যেন তোমাদের উপস্থিতির (দোয়া ও ইস্তেগফারের) কারণে আমি আতঙ্কমুক্ত অবস্থায় চিন্তা করতে পারি যে, আমার রবের দূতদের প্রশ্নের কী জবাব দেব। (মুসলিম: ১২১)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন