দলীয় কোন্দলে গুলি খেতে না চাইলে এনসিপির রাজনীতি করার আহ্বান হাসনাতের

২ সপ্তাহ আগে
দলীয় কোন্দলে গুলি খেতে না চাইলে এনসিপির রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এনসিপির’র সমন্বয় সভায় চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।


চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগে গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে নেতাকর্মীদের হাসনাত বলেন, ‘দলীয় কোন্দলে গুলি খেতে না চাইলে আপনারা এনসিপির রাজনীতি করবেন। অস্ত্রের রাজনীতি, চাঁদাবাজির রাজনীতিতে মানুষ অতিষ্ঠ। আগামীর ভোট হবে মাফিয়া, চাঁদাবাজদ ও বুলেটের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামে ব্যালটের চেয়ে বুলেট শক্তিশালী হয়েছে। যারা ব্যালটের চেয়ে বুলেটকে শক্তিশালী করেছে তাদের বিচার হবে। যারা বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন, তারা যদি আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চান তাদের এনসিপিতে স্বাগতম। এনসিপি জোটে বিশ্বাসী নয়, আমরা নির্বাচনে সিট পুনর্বণ্টনে নয়, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিশ্বাসী। এনসিপি যেই অবস্থান নেয় বিএনপি জামাত সেখানে আসতে বাধ্য হয়।’



এসময় সরকারের দুই উপদেষ্টা ও তাদের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রজেক্ট হলো স্বাস্থ্য উপদেষ্ট। তিনি না বুঝেন স্বাস্থ্য। উনি বুঝেন কেবল কোন জেলা থেকে কিস্তি নেবে, মেডিসিন বিক্রি করলে কত লাভ। তার ব্যর্থতার দায় আমাদের সারাজীবন টানতে হবে। খুলনায় জুলাই যোদ্ধার চোখ হারানোর দায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।


আরও পড়ুন: বিএনপির যেসব প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে হবে নাহিদ ও হাসনাতদের

পরে জুলাই যোদ্ধাদের পাওয়া না দেওয়ার প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টার প্রতিও অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাসনাত। বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের পাওয়া মিটিয়ে দিতে উপদেষ্টা নানা প্রটোকল দেখাচ্ছেন। পাওনা শিগগিরই মিটিয়ে দেওয়া না হলে প্রটোকলে থাকা দামি গাড়ির কালো গ্লাসের ভেতর থেকে টেনে বের করে তা আদায় করা হবে।


দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। 


তিনি বলেন, ‘এনসিপির চট্টগ্রাম নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোরাম দেখেছি। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে কোরাম বাদ দিতে হবে। একা সফল হতে চাইলে পতন নিশ্চিত, আর সারভাইব করতে হলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। মাইম্যান পলিটিক্স বাদ দিতে হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন