দখলেই রয়ে গেল সিলেটের ক্বীন ব্রিজ!

১ সপ্তাহে আগে
সিলেটের ঐহিত্যবাহী ক্বীন ব্রিজ এখন হকারদের দখলে। হাঁটার জায়গায় বসে বাজার। নতুন মার্কেটে হকারদের পুনর্বাসন করা হলেও জায়গা সংকটের অজুহাতে আবারও সড়কে বসছেন তারা। তবে, শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগ।

সিলেটের ক্বীন ব্রিজ দেখে বোঝার উপায় নেই- এটি বাজার নাকি শুধু চলাচলের রাস্তা। চলতি বছরের মার্চে সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হকারদের সরিয়ে নগরীর লালদীঘিরপাড় হকার মার্কেটে পুনর্বাসন করে সিটি করপোরেশন।


৫ আগস্টের পর পর্যায়ক্রমে হকাররা ক্বীন ব্রিজের রাস্তা ও ফুটপাতে বসতে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা পুরো ব্রিজ দখল করে। এতে পথচারীদের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি, স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালালেও তারা জায়গা ছাড়ছে না। এতে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।


নগরবাসী জানান, এটা কি আর ক্বীন ব্রিজ, এটা এখন সবজির ব্রিজ হয়েছে, মাছের বাজার হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে হাঁটা যায় না। ঠিক মতো চলাচল করার উপায় রাখেনি হকাররা।


নগরবাসীর অভিযোগ, হকারদের জন্য আলাদা জায়গা করার পরেও তারা অবৈধভাবে এ ব্রিজ দখল করে আছে। এখানে শিক্ষার্থীরা আসবে, মানুষ পরিবার নিয়ে একটু বিশুদ্ধ বাতাসে বেড়াতে আসে, কিন্তু হকাররা সবটা দখল করে রেখেছে। এটা সম্পূর্ণ সিটি করপোরেশনের গাফলতি।


আরও পড়ুন: হায় ফুটপাত! আছো কি তুমি নগরপিতার নজরে?


হকারদের দাবি, তাদের নামমাত্র পুনর্বাসন করা হয়েছিল। এমনকি, মার্কেটে মেলেনি চাহিদামাফিক জায়গা।


তবে, শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগের।


সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ‘সবাই মিলেই চেষ্টা করছি হকার নিয়ন্ত্রণ করার। এছাড়া অভিযান তো চলমান আছে।’


সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ ও লাইন্স পুলিশ- সবাই মিলে ক্বীন ব্রিজকে চলাচল উপযুক্ত করার বিষয়ে নিবো।’


সিলেট সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য লালদীঘিরপাড় হকার মার্কেট নির্মাণে খরচ হয় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন