দক্ষিণ কোরীয় বিমান বিধ্বস্তের কারণ নিয়ে যেসব প্রশ্ন তুললেন বিশেষজ্ঞরা

১ সপ্তাহে আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তের কারণ নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে। পাখির আঘাতে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কি না- তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। খবর রয়টার্সের।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে সবচেয়ে মারাত্মক এ বিমান দুর্ঘটনায় ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন।

 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ল্যান্ডিং গিয়ারের আপাত অনুপস্থিতি, টুইন-ইঞ্জিন বোয়িংয়ের ‘টাইমিং’,  বিধ্বস্ত ৭৩৭-৮০০ ফ্লাইটটির বেলি-ল্যান্ডিং (ল্যান্ডিং গিয়ার সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত না করা) এবং সম্ভাব্য পাখির আঘাতের বিষয় নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে; যার উত্তর এখনও অজানা।


বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সিঙ্গেল-আইল (ন্যারো বডি) বিমানটি কোন দৃশ্যমান ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে।

 

আরও পড়ুন:দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: ক্ষমা চাইলেন জেজু এয়ারের সিইও

 

দুর্ঘটনার পর প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণ করার চেষ্টা করছে। এ সময় রানওয়ের মাটি ছুঁয়ে প্রচণ্ড গতিতে সামনে যায় বিমানটি। এক পর্যায়ে সেটি রানওয়ের দেয়ালে সজোরে ধাক্কা খায় এবং প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে।  


এ বিষয়ে এয়ারলাইন নিউজের সম্পাদক জিওফ্রে থমাস প্রশ্ন করেন, ‘কেন ফায়ার টেন্ডাররা রানওয়েতে ফেনা (ফোম) ফেলল না? প্লেনটি যখন মাটি ছুঁয়েছিল, তখন কেন তারা সেখানে উপস্থিত ছিল না? কেন বিমানটি রানওয়ের এতটা নিচে নেমে গিয়েছিল? কেন সেখানে রানওয়ের পাশে ইটের প্রাচীর ছিল?’  

 

এদিকে বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারটি সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুপুর ২ টা ২৪ মিনিটে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারটিও পাওয়া যায়। থমাস বলেন, ‘এদুটো প্লেনের সমস্ত সিস্টেমের প্যারামিটার জানাবে।’ 

 

বিমানের হার্টবিট ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারে থাকে। ভয়েস রেকর্ডার থেকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

 

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা জেজু এয়ার ফ্লাইটটির বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধান করছেন। সম্ভাব্য পাখির আঘাতের বিষয়টিও তারা তদন্ত করে দেখছেন।

 

আরও পড়ুন:দক্ষিণ কোরিয়া / বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাখির আঘাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল

 

 বিমানটি ৬ জন ক্রুসহ ১৮১ জন আরোহী নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল। অবতরণের সময় এ দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন