দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় দমকল সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে মোট ৩৯ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দুর্ঘটনার সময় জেজু এয়ারের পরিচালিত বোয়িং ৭৩৭-৮০০বিমানটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। এটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৮১ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২৮
প্রাথমিকভাবে দু’জনকে জীবিত উদ্ধারের খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ। তারা ক্রু বলে জাতীয় দমকল বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। হতাহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে বিধ্বস্ত বিমানটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বিধ্বস্ত বিমানটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানবন্দরে জরুরি সেবা কার্যক্রম শুরু হয়। দুর্ঘটনাস্থলে কমপক্ষে ৩২টি ফায়ার ট্রাক এবং বহু সংখ্যক দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মক যথাযথভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে। গত শুক্রবার চোই সাং-মক দেশের অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ এই ঘটনা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।