ভয়াবহ এই দাবানল নেভাতে গিয়ে চার দমকলকর্মীর করুণ মৃত্যু হয়েছে। দাবনল এলাকায় তাদেরকে মৃতদেহ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার (২১ মার্চ) দক্ষিণ গিয়ংনামের প্রদেশের সানচেংয়ের একটি পাহাড় থেকে দাবানলের সূত্রপাত হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে এখন ২০টিরও বেশি দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর জন্য প্রায় ১ হাজার ৬০০ অগ্নিনির্বাপক কর্মী, ৩৫টি হেলিকপ্টার এবং কয়েক ডজন যানবাহন মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলেছেন, বাতাসের তীব্র গতির কারণে পাহাড়ের দাবানলটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ দাবানলে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৭৫ হেক্টর জমি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় দুই শতাধিক বসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সন্ধ্যার মধ্যে দাবানলে নিয়ন্ত্রণ আনতে কোরিয়া ফরেস্ট সার্ভিস, ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি, স্থানীয় সরকার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া দাবনলের অঞ্চলগুলোকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষনা করা করেছেন।
আরও পড়ুন: জাপানে ভয়াবহ দাবানল, পুড়ল ৫ হাজার একরের বেশি বনভূমি
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবানলের দূর্যোগগুলোর মধ্যে ২০০৫ সালের এপ্রিলে গ্যাংওন প্রদেশে ইয়াংইয়াং দাবানল, ২০১৯ সালের এপ্রিলে গ্যাংওন প্রদেশের পূর্ব উপকূলে দাবানল এবং ২০২২ সালের মার্চ মাসে গিয়ংবুক প্রদেশ দাবানল কোরিয়ার ভয়াবহ দুর্যোগকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
]]>