তরিকুল ইসলাম উপজেলা সদরের পশ্চিম দেউলভোগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আজাদ রহমান জানান, যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আগের মারামারি মামলাটি ছাড়াও থানা থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নতুন মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ দিকে এ ঘটনায় তরিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদফতর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে থানা থেকে ছিনিয়ে নেয়া সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার
পুলিশ জানায়, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. তারিকুল ইসলামকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর ধাইসার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। তারিকুল ইসলাম শ্রীনগর থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি।
মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ছিলেন তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ৩, ওসি প্রত্যাহার
পরে তরিকুলকে ছাড়িয়ে নিতে প্রথমে থানায় আসেন বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তারা তরিকুলকে ছেড়ে দেয়ার জন্য পুলিশকে বিভিন্নভাবে চাপ দেন। পুলিশ তাতে রাজি না হলে পরে নেতাকর্মীদের একটি দল থানায় যায়।
এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ২০০ নেতাকর্মী সেখানে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে তারা বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জোর করে ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সামনে থেকে আসামি তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।
এই সময় তারা থানায় ভাঙচুর ও ধস্তাধস্তির ঘটনায় শ্রীনগর থানার ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার (১১ জানুয়ারি) শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমসকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে পুলিশ শ্রীনগর থেকে সিয়াম পাঠান, শুভ পাঠান ও হিমেল নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে।