সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাপ্পুদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামে। তার পরিবার তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকায় থাকে। তিন ভাইবোনের মধ্যে পাপ্পু ছিলেন মেঝ।
পাপ্পুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. রাজু জানান, তারা তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশে পাপ্পুসহ কয়েকজন মিলে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন পাপ্পু প্রস্রাব করার কথা বলে রাস্তার পাশে যান। সেখানে কিছুটা অন্ধকার ছিল। এর কয়েক মিনিট পরই অন্ধকার থেকে পাপ্পু ‘ছিনতাইকারী’, ‘ছিনতাইকারী’ বলে চিৎকার করতে থাকে। তখন অন্যরা দৌড়ে এগিয়ে গেলে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী সেখান থেকে দৌড়ে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে পাপ্পু।
আরও পড়ুন: শেরে বাংলা নগর থেকে ৩ ছিনতাইকারী আটক
তিনি বলেন, রাস্তার পাশে সেই অন্ধকার জায়গায় অন্য কয়েকজনকে আক্রমণ করেছিল ওই ছিনতাইকারীরা। সেটি দেখেই তাদের বাঁচানোর জন্য চিৎকার করেছিলেন পাপ্পু। তখনই ছিনতাইকারীরা তার পায়ে ও মুখে ছুরিকাঘাত করে। তবে তার কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নিতে পারেনি।
নিহত পাপ্পুর বাবা মো. একরাম হোসেন জানান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দারাজে চাকরি করতো পাপ্পু। রাত্রিকালীন ডিউটি চলছিল তার। আজ রাত ৯টার দিকে অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য সারাদিন বাসায় ছিল। সন্ধ্যায় বাবার মানিব্যাগ থেকে ১০ টাকা নিয়ে বাসার বাইরে বের হয়েছিল। এর ১০ মিনিট পরই বাবার কাছে খবর আসে, ছিনতাইকারীরা পাপ্পুকে কুপিয়ে আহত করেছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, রাতে ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর চিকিৎসকরা পরিক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় জানানো হয়েছে।