ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। আইএমডি ইতোমধ্যেই একটি সতর্কতা জারি করেছে। সেই অনুযায়ী, ‘মোন্থা’ রোববার গভীর রাত পর্যন্ত অন্ধ্রের কাকিনাড়া থেকে প্রায় ৮৩০ কিলোমিটার এবং ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় ট্র্যাকার ওয়েবসাইট জুমআর্থ অনুসারে, এই ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাসসহ উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে। কিছু কিছু রাজ্যে সরকারি জুনিয়র কলেজগুলো ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ইতোমধ্যেই অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে অন্ধ্রপ্রদেশের স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোন্থা ১২ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি গত ৬ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টায় এটি উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হবে এবং মঙ্গলবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
আরও পড়ুন: ক্যাটাগরি ৫ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলো ‘মেলিসা’, ধেয়ে আসছে ২৬০ কিমি বেগে!
উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকলে, এটি ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা বা রাতে মছলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যবর্তী কাকিনাড়ার আশপাশে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এসময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে, যা ১১০ কিলোমিটারেও পৌঁছাতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগেই ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে ওড়িশা, এনডিআরএফ এবং ওডিআরএএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে। আটটি জেলায় ১২৮টি দুর্যোগ মোকাবিলা দল মোতায়েন করেছে ওড়িশা সরকার।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম, আল্লুরি আইথারাম রাজু, আনাকাপল্লি, বিশাখাপত্তনম, কাকিনাড়া, পূর্ব গোদাবরী, এলুরু, কোনাসীমা, এনটিআর, গুন্টুর, কৃষ্ণা এবং বাপাতলা জেলায় আবহাওয়া বিভাগ লাল সতর্কতা জারি করেছে।
সূত্র: নিউজ১৮

৩ সপ্তাহ আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·