তিনদিন পর রাতের আঁধারে লাশ তুলে নতুন কবরে দাফন, কারা করল ‌‌‘জানে না স্বজনরা’

৬ ঘন্টা আগে
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী গ্রামে দাফনের তিনদিন পর এক কৃষকের মরদেহ উত্তোলন করে রাতের আঁধারে পুনরায় অন্য স্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কৃষক আব্দুস সাত্তার (৬৭)। ওইদিনই তাকে সোনামুখী গ্রামের জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তবে রোববার (১৩ জুলাই) সকালে স্থানীয়রা আব্দুস সাত্তারের বাড়ির পাশে একটি নতুন কবর দেখতে পান।


নিহতের ভাতিজা মজনু মিয়া বলেন, ‘আমার চাচা আব্দুস সাত্তার পূর্বপাড়ায় একাই বসবাস করতেন, আর তার পরিবার অন্য গ্রামে থাকে। রোববার সকালে হঠাৎ নতুন কবর দেখে আমরা সবাই বিস্মিত হয়ে যাই। পরে সন্দেহ হয়, হয়তো চাচার লাশই রাতের আঁধারে এখানে এনে দাফন করা হয়েছে।’


গ্রামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘গভীর রাতে কবরস্থানের পাশে খোঁড়াখুঁড়ির শব্দ পেয়ে আমি এগিয়ে যাই। দেখি পাঞ্জাবি পরা চার-পাঁচজন ব্যক্তি কবর খুঁড়ছেন। সামনে এগোতেই তারা ধমক দিয়ে সরে যেতে বলেন। আমি ভয় পেয়ে চলে আসি।’


আব্দুস সাত্তারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাসুদ বলেন, ‘সাত্তার জীবদ্দশায় বলেছিলেন, মারা গেলে যেন তাকে তার বাড়ির পাশে কবর দেয়া হয়। কিন্তু সেই জায়গাটি সরকারি খাসজমি হওয়ায় তখন সেখানে দাফন করা হয়নি। এখন দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেখানেই কেউ তাকে আবার কবর দিয়েছে।’


আরও পড়ুন: খালের মাঝে রহস্যময় এ কবরটি পানি বাড়লেও ডোবে না!


সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, ‘সাত্তার জীবিত অবস্থায় বাড়ির পাশে কবর দিতে বলেছিলেন। কিন্তু জায়গাটি খাসজমি হওয়ায় প্রথমে তার স্বজনরা তাতে সম্মত হননি। আজ দেখি, মরদেহ উত্তোলন করে সেই জায়গাতেই দাফন করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে, তা জানা যায়নি।’


এ বিষয়ে কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম জানান, ‘আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কারা যেন পূর্বের কবরস্থান থেকে মরদেহ তুলে নতুন করে দাফন করেছেন। এখনও এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন