তিন সমন্বয়ককে তুলে নেয় ডিবি, সমালোচনার মুখে হাসপাতালে যান হাসিনা

১ দিন আগে
রক্তাক্ত জুলাইয়ের ২৬ তারিখ, শুক্রবার। দেশজুড়ে অভিযান চালছিল যৌথবাহিনীর। সারা দেশে অন্তত ৫৫৫টি মামলায় শিক্ষার্থীসহ গ্রেফতার করা হয় ৬ হাজারের অধিক মানুষ।

এদিন বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। 

 

আন্দোলন দমাতে আগেও তিনজনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে তাদের আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। দ্বিতীয়বারের মতো এই তিন সমন্বয়ককে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ।

 

আগের দিন ২৫ জুলাই হাসপাতালে না গিয়ে মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন পরিদর্শন যান শেখ হাসিনা। সেখানে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে শেখ হাসিনা পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।

 

আবু সাঈদ হত্যার বিষয়ে পুলিশের এফআইআরে মৃত্যুর কারণ হিসেবে পুলিশের গুলি নয়, বরং বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেলের কথা উল্লেখ করা হয় ২৬ জুলাই। ক্ষোভের আগুনে যেন ঘি ঢালে পুলিশের এফআইআর। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আন্দোলনের সময় প্রথম অবস্থায় আমরা ১৩ জনকে সমন্বয়ক রাখি। এরা সবাই সভাপতির সম মর্যাদার। যাতে একজন চলে গেলে দ্বিতীয় জন একই মর্যাদা নিয়ে আন্দোলনের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারে।’    

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন