বাগান ঘুরলেই ধরা পড়ে সারি সারি পান গাছ। আর সেই গাছে ঝুলছে ছোটবড় পান পাতা। এমন চিত্র চোখে মেলে চাঁদপুরের হাইমচরের আলগী, মহজমপুর, কমলাপুর, গন্ডামারা। ফরিদগঞ্জের লাড়ুয়া, বিরামপুর, গোবিন্দপুর ও হাওয়াকান্দিসহ অনেক গ্রামে। যেখানে চাষ হয় সুস্বাদু এই পান।
কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে পানের ভরা মৌসুমে ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ গাছ পরিচর্যায় কেউবা পরিপক্ক পান বাজারজাত করতে। গতবছর প্রতি বিড়ার দাম ছিল দেড়শ থেকে দুইশ টাকা পর্যন্ত। যা দেখে এবার আবাদ বাড়িয়েছে চাষিরা। বাজারেও চাহিদা রয়েছে। তবে দাম পড়তির কারণে উঠছে না তাদের উৎপাদন ব্যয়ও।
হাইমচরের মহজমপুরের পান চাষি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, গতবছর যেই পান তিন লাখ লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এবার সেই পান বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার টাকা। এতে তার উৎপাদন খরচও উঠছে না। কৃষক আব্দুর রহিমের মতো অন্য পান চাষিদের সেই একই অবস্থা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাড়ছে পান চাষ, যাচ্ছে বিদেশেও
কৃষি বিভাগ বলছে, পানের উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে, দাম নির্ধারণে কিছুই করার নেই তাদের। এমন তথ্য জানান, চাঁদপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু তাহের।
তিনি আরো বলেন, পান চাষ করছেন এমন কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়। কিভাবে পানে উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া সঠিকভাবে যেনো সার, বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয়, তার জন্যও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তবে এবছর কৃষক লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পান উৎপাদন করেছে। তাই সেই অনুপাতে দাম পাচ্ছেন না৷
আরও পড়ুন: ভালো নেই কুমিল্লার পান চাষিরা
কৃষি বিভাগের তথ্য, চাঁদপুরের হাইমচর ও ফরিদগঞ্জে মোট ৫শ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়। গতবছরও এই দুই উপজেলায় উৎপাদিত পানের মূল্য বিক্রয় মূল্য ছিল ৫০ কোটি টাকা।