রাজস্থানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে বিরাট কোহলির ৪২ বলে ৭০ ও দেবদূত পাডিকালের ২৭ বলে ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বেঙ্গালুরু। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও ১১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রাজস্থান রয়্যালস। শেষদিকে মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রাজস্থান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইয়াসভি জয়সাওয়াল ও ১৪ বছর বয়সি ওপেনার ভৈভব সূর্যবংশী মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। ভৈভব আউট হয়েছেন ১২ বলে ১৬ রান করে। এরপর নীতিশ রানা ও জয়সওয়ালের জুটি বেশিদূর যেতে দেননি জস হ্যাজেলউড। তিনি ১৯ বলে ৪৯ রান করা জয়সাওয়ালকে আউট করেন।
এরপর এই অজি পেশার আরও ৩ উইকেট নিয়ে রাজস্থানের ইনিংসে ধস নামিয়েছেন। রাজস্থানের হয়ে ধ্রুব জুরেল ছাড়া আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। জুরেলের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ বলে ৪৭ রান। এর বাইরে রিয়ান পরাগ ২২ ও শুভম দুবে ১১ রান করলেও তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।
আরও পড়ুন: মাইলফলক ছোঁয়ার দিন মোস্তাফিজকে পেছনে ফেললেন বুমরাহ
হ্যাজেলউড ৩৩ রানে নেন ৪ উইকেট। আর ৩১ রানে দুটি উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। একটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও ইয়াশ দয়াল।
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক রিয়ান পরাগ। চলতি মৌসুমে এম চিন্নাস্বামীর উইকেটে বোলাররা বেশ ভালোই সুবিধা পাচ্ছেন। রাজস্থানের বোলাররাও শুরুতে বেশ ভালো সুবিধা পাচ্ছিলেন। দ্বিতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকির বলে ক্যাচও তোলেন ফিল সল্ট। মিড অনে সহজ ক্যাচ ছাড়েন রাজস্থানের অধিনায়ক পরাগ।
এরপর তাদের সেই ক্যাচ মিসের খেসারৎও দিতে হয়। সল্টের জীবন পাওয়ার পর কোহলি খেলেছেন হাত খুলে। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতেই তোলেন ৫৯ রান। সপ্তম ওভারে ২৬ রানের মাথায় সল্টকে ফিরিয়ে বেঙ্গালুরুকে প্রথম ধাক্কা দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন পাডিকাল।
৯৫ রানের জুটিতেই বড় সংগ্রহ নিশ্চিত হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর। কোহলি তুলে নেন এবারের মৌসুমে ঘরের মাঠে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এছাড়াও পাডিকালও ফিফটি করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। বাকিরা ছোট ছোট ইনিংস খেলে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহটা বিশাল করেন। রাজস্থানের হয়ে সন্দ্বীপ শর্মা নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন আর্চার ও হাসারাঙ্গা।