এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ঘেরাও ডাক দিয়ে শিক্ষার্থীদের এতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন এবি যুবায়ের। পোস্টে তিন দফার উল্লেখ করেন তিনি। সেগুলো হলো—
এক. হল সংসদ এবং ডাকসুর অতীতের সকল ফান্ডের হিসাব দিয়ে বাজেট বুঝিয়ে দিতে হবে।
দুই. নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনে টোকাই, ভবঘুরে, মাদকমুক্ত করতে হবে এবং এর সাথে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিন. ৩ আগস্ট, ২০২৪ খুনী হাসিনার পক্ষে মিছিলে নেতৃত্বদানকারী ট্রেজারার অফিসে কর্মরত ডেপুটি রেজিস্ট্রার রুহুল আমিনসহ সকল ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
হলগুলোতেও বিগত দুই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো বাজেট না দেয়ায় নির্বাচনী ইশতেহারের শর্ত পূরণে ডাকসু নেতারা ব্যর্থ হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা।
এসময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জোবায়ের, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহসহ বিভিন্ন হল সংসদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এক মাসে ডাকসু কতটা কাজ করতে পেরেছে?
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডাকসুর আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে না। হল সংসদ ও ডাকসুর অতীতের সব খাতের হিসাব প্রকাশের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি নিয়ে কোষাধ্যক্ষের কক্ষে গেলে শুরু হয় দুপক্ষের বাগ্বিতন্ডা।
ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর দেড় মাস পার হয়ে গেলেও এখনো বাজেট হস্তান্তর করা হয়নি। এর ফলে আমাদেরই শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। গতকাল আমরা ক্যাম্পাস থেকে হকারদের সরালে বাম সংগঠনগুলো বহিরাগতদের এনে মিছিল করেছে, অথচ প্রশাসন তখনো নির্লিপ্ত থেকেছে।’
দীর্ঘসময় চলা বাগ্বিতন্ডার পর ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেঁধে দেন ডাকসু প্রতিনিধিরা। দাবি আদায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে ডাকসুর পক্ষ থেকে সোমবার নতুন কর্মসূচির হুমকিও দেয় ডাকসু নেতারা।

৩ সপ্তাহ আগে
৭







Bengali (BD) ·
English (US) ·