বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
জেলা নদী রক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকালে তিতাস নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আনন্দ বাজার ঘাট থেকে সুহিলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা গোস্বামী। এ সময় দু’টি ঘের অপসারণ ও মাছ ধরার জাল জব্দ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সদর মো. ছায়েদুর রহমান, জেলা নদী রক্ষা কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ, তরী বাংলাদেশের সদস্য খায়রুজ্জামান ইমরান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. মাহফুজ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা সুগম করতে নোয়াখালীতে র্যাবের বিশেষ অভিযান
জেলা নদী রক্ষা কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে রিংজাল, কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভা সেমিনারে কথা বলছি। কথা বলছি, নৌপথ স্বাভাবিক রাখার জন্য। কিন্তু দেখা গেছে, এক শ্রেণীর অসাধু জেলে নদীর মাঝখানে ঘের দিয়ে নৌ পথকে সংকুচিত করছে। রিং জাল, কারেনজাল দিয়ে অব্যাহতভাবে মাছ নিয়ন্ত্রণ করছে। যা নদী, জল, প্রকৃতির জন্য স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়।’
অভিযান সম্পর্কে মুক্তা গোস্বামী জানান, নদীতে কচুরিপানা আটকিয়ে ঘের তৈরি করে নৌ-পথ সংকুচিত করে একটি চক্র মাছ আহরণের চেষ্টা করছে। তাছাড়া রিং জাল, কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছের প্রজনন ব্যবস্থা ব্যাহত করছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।