এই গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত-পুণ্যার্থীরা গোকর্নঘাট তিতাস নদীর তীরে এসে সমবেত হন। পরে তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গাস্নানে অংশ নেন। এ সময় নদীতে ভক্তদের ঢল নামে।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাস্নান নদীর উভয় পাশে বসেছে লোকজ মেলা।
পবিত্র স্নান শেষে ভক্ত পূর্ণার্থীরা স্বস্তিকা দাস জানান, প্রতিবছরই এই গঙ্গাস্নানে আমরা আসি। এবারও আমরা এসেছি। নদীতে পুণ্যস্নানের পর আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছি, নিজের জন্য ও পরিবারের মঙ্গলের জন্য। এ ছাড়া দেশের সব মানুষ যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে সে জন্য মহান সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করা হয়।
এ বিষয়ে ভক্ত মোহন সরকার জানান, নদীর তীরে অনেক ভক্ত তাদের বাবা-মায়ের স্মরণে তিথি শ্রাদ্ধসহ পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করছেন। প্রয়াত বাবা মা যেন স্বর্গবাসী হন এই প্রার্থনা করছেন।
এ ব্যাপারে নদীর তীরে পারলৌকিক ক্রিয়া (তর্পন) সম্পন্নের কাজে নিয়জিত পুরোহিত নিমাই চক্রবর্তী জানান, এই পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন কারলে মাতৃপক্ষ এবং পিতৃপক্ষ জল পিণ্ড পেয়ে ইহলোকে থাকা তাদের সন্তানদের আশীর্বাদ করে থাকেন।
এ দিকে গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে নদী পাড়ে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় মণ্ডা মিঠাই, হাওয়াই মিঠাইসহ হরেক রকমের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এই লোকজ মেলা চলবে।