নিহত রুহুল আমিন কবির (৪২) পোলাডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে সংসারে বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তালাকের পর দোতালা বাড়িতে একাই থাকতেন রুহুল আমীন কবির। গত দুদিন থেকে তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।
বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পেয়ে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাড়ির ভেতরে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়৷
আরও পড়ুন: সীমান্তে ইছামতি নদীতে ভাসছে যুবকের মরদেহ
নিহত রুহুল আমিন কবিরের চাচাতো ভাই মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘পুরো বাড়িতে একা থাকতেন কবির। তবে আশপাশের বাড়িগুলো তার ভাই ও আত্মীয়-স্বজনদের। গত দুদিন ধরে তাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না এবং ফোনেও পাওয়া যায়নি। আজকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাড়ির মধ্যে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানানো হয়।’
নিহত কবিরের ভাগনের বউ মাহফুজা খাতুন বলেন, ‘সংসারে আর কেউ না থাকায় তিনি (কবির) নিজে নিজেই রান্না করে খাবার খেতেন। একাই বসবাস করতেন পুরো বাড়িতে। তার সঙ্গে স্বজনদের যোগাযোগও কম ছিল। দুদিন আগে সন্ধ্যায় তাকে সর্বশেষ দেখা গেছিল। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: কসবার সড়কের পাশে পাওয়া গেল যুবকের মরদেহ
তবে বাড়ির মূল ফটকে তালা দেয়া থাকলেও আরেকটি দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মূল ফটকের তালা ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে নেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা। প্রাথমিকভাবে মরদেহে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ কাজ করছে।
এ ঘটনায় রাজশাহীর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।