তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির আনন্দ মিছিল

১ সপ্তাহে আগে
এক দশক পর ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলকে সভাপতি ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে সাধারণ সম্পাদক করে শুক্রবার (৯ মে) ১৫১ সদস্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

এর পরই দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন সভা সমাবেশে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন জেলা বিএনপির নেতারা।


পূর্বঘোষিত আনন্দ মিছিলকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল ৩টার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে এসে জড়ো হয় দলটির নয়টি উপজেলা থেকে আসা বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। পরে সরকারি কলেজ মাঠ থেকে দলের সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিভিন্ন ছবি, ব্যানার ফেস্টুন, বাদ্য-বাজনা নিয়ে বিশাল আনন্দ মিছিল বের হয়। 


মিছিলের নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ দলটির সিনিয়র নেতারা। আনন্দ মিছিলে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে আনন্দ মিছিলটি শহরের লোকনাথ ট্যাংকের পাড় ময়দানে এসে শেষ হয়।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা কারাগারে

পরে ট্যাংকের পাড় ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নবগঠিত কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহাবুব শ্যামল বলেন, ‘আজকের যে মিছিল, এ মিছিলের মাধ্যমে কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। সামনে যে কঠিন পরীক্ষা আসছে। সেটি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অতিক্রম করতে হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করছেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তারা একেক সময় একেক ধরনের কথা বলছে। বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছে। আজকে যানজটকে উপেক্ষা করে তারা শাহবাগের চত্বর থেকে আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছেন। আমি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব, যত সংস্কার আছে, সব সংস্কার উল্লেখিত আছে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচিতে।’ 


এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আগামী দিনে নির্বাচনে আগ মুহূর্তে যে সময়টুকু আছে, সেই সময়টুকু আমাদের ধৈর্য সহকারে কাটাতে হবে। আমরা বিএনপি কর্মীরা এমন কোনো কাজ করব না, যাতে করে আমরা সাধারণ জনগণ থেকে দূরে সরে যাই।’


তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, এ আওয়ামী লীগ তিনটি নির্বাচন বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচন, ২০১৮ সালে নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন জনগণ ছাড়া, ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। এর মাধ্যমে তারা সম্পূর্ণভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে জুলাই আগস্টের যে আন্দোলন, এ আন্দোলনে তাদের দলের নেতাকর্মীরা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে থাকে নাই। এ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে আমাদের মতো রাজনীতিবিদদের জন্য একটি শিক্ষা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এ জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। জনগণবিরোধী কাজ করবে, তাদের পরিণতিও এরকমই হবে।’ 


এ সময় তিনি আনন্দ মিছিলে অংশ গ্রহনের জন্য দলীয় নেতা কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

আরও পড়ুন: ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশ ঊষর ভূমি হয়ে উঠছে: মির্জা ফখরুল

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা রাখেন, জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এবিএম মমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কার্যকরী কমিটির ১ নম্বর সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সদস্য ইঞ্জিনিয়ার কবীর আহমদ ভূঁইয়া প্রমুখ। 


 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন