তারাবি নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা। রমজানের রোজা মহান আল্লাহ আবশ্যক করেছেন। যা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। আর তারাবির নামাজ আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চালু করেছেন। তিনি সাহাবায়ে কেরামকে তারাবির নামাজ আদায়ে উৎসাহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রমজানের শেষ দশকে যেসব আমল করতেন নবীজি
হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা. বলেন, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ রমজান মাসের রোজা তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। আর আমি তোমাদের জন্য রমজান মাসব্যাপী আল্লাহর ইবাদতে দাঁড়ানো সুন্নত হিসেবে চালু করেছি। কাজেই যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ঈমান ও পুণ্যের আশা নিয়ে এ মাসের রোজা রাখবে ও নফল অর্থাৎ তারাবির নামাজ পড়বে, সে তার জন্মের দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে। (নাসায়ি, হাদিস: ২২১২)
একজন জানতে চেয়েছেন, তারাবির নামাজে কি কোরআন দেখে পড়া যাবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ফরজ-নফল সব নামাজেই কোরআন শরিফ দেখে দেখে পড়লে নামাজ ভেঙ্গে যায়৷ কেননা কোরআন শরিফ দেখে পড়তে হলে কোরআনের কপি বহন করতে হবে ৷ পাতা উল্টাতে হবে৷ কোরআনের দিকেই নজর রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: রমজানের শেষ দশকে যেসব আমল করতেন নবীজি
আর নামাজের ভিতরে এসব আমলে কাসিরের অন্তর্ভুক্ত৷ আর আমলে কাসিরের কারণে নামাজ ভেঙ্গে যায়৷ তাছাড়া কোরআন শরিফ দেখে দেখে পড়া যেন কোরআন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা৷ এটি কোনো শিক্ষক থেকে শিখার মত৷ যা নামাজ ভঙ্গের কারণ।
]]>