সংবাদ সংস্থা ইকনার বরাতে জানা যায়, বর্ণাঢ্য এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাতারস্তানের প্রেসিডেন্ট রুস্তম মিন্নিখানভ, তাতারস্তানের মুফতি কামিল হজরত সামোইলিন, স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধি এবং তাতারস্তানের বিশিষ্টজনেরা। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান ছিল এক আবেগঘন ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে পূর্ণ।
মসজিদের উদ্বোধনের পর প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসল্লিরা। মসজিদের ভেতরে প্রশস্ত ও আলোকোজ্জ্বল নামাজঘরে পরিপূর্ণ ভাবগম্ভীর পরিবেশে ইবাদত অনুষ্ঠিত হয়। পরে আগত অতিথিরা তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ আদায় করেন ও পুরো মসজিদটি ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলের নতুন প্রস্তাব, কী ভাবছে হামাস?
মসজিদের স্থাপত্যে দেখা যায় ভোলগা বুলগার ইসলামি ঐতিহ্যের প্রভাব। একতলা এই মসজিদের মিনার নির্মিত হয়েছে ১৪ শতকের বুলগার শহরের ‘ছোট মিনার’ এর অনুপ্রেরণায়। ভেতরের ও বাইরের অংশ সজ্জিত করা হয়েছে দাগেস্তানের খাঁটি পাথর দিয়ে, যা অতীতের ইসলামী স্থাপত্যধারার স্মারক বহন করে।
মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে ওজুর স্থান, মহিলাদের আলাদা নামাজ কক্ষ, ইমামের অফিস ও একটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা প্রবাহিত সৌন্দর্যমণ্ডিত উঠোন। এই মসজিদ নির্মাণে যারা অবদান রেখেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট মিন্নিখানভ।
নতুন এই মসজিদটির সংযোজনের মাধ্যমে ভাখিটোভস্কি ও প্রিভোলজস্কি জেলায় সক্রিয় মসজিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৩টিতে। এটি নিঃসন্দেহে তাতারস্তানের ইসলামি সংস্কৃতি ও স্থাপত্য ঐতিহ্যের এক অনন্য সংযোজন।
]]>