আল্লাহ তাআলা তার নবি ও খলিল ইবরাহিম (আ.) ও তার ছেলে ইসমাইলকে (আ.) নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তারা কাবা ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য পবিত্র রাখে। তিনি বলেন, আর আমরা ইবরাহিম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিয়েছিলাম, তোমরা আমার ঘরকে পবিত্র রাখো তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী, রুকু ও সিজদাকারীদের জন্য। (সুরা বাকারা: ১২৫)
অনেকে জানতে চান, তাওয়াফের সময় পানাহার করা যাবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নবীজি (সা.) তাওয়াফকে নামাজের সাথে তুলনা করেছেন। তাওয়াফের সময় অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলতে নিষেধ করেছেন। যদিও নামাজের মতো তাওয়াফের সময় কথা বলা নিষিদ্ধ নয়। কথা বললে তাওয়াফ নষ্ট হয়ে যায় না। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, বাইতুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামাজ আদায় করার মতই। তবে নামাজে আপনারা কথা বলতে পারেন না, কিন্তু তাওয়াফের সময় কথা বলতে পারেন। তবে তাওয়াফের সময় সময় কথা বললে শুধু ভাল কথাই বলুন। (সুনানে তিরমিজি: ৯৬০)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায় তাওয়াফের সময় আদব রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। তাই ওলামায়ে কেরাম বলেন, তাওয়াফের সময় বিশেষ প্রয়োজন হলে পানি পান করা যেতে পারে। কিন্তু খাবার খাওয়া মাকরুহ। খাবার খাওয়ার প্রয়োজন থাকলে তাওয়াফের আগেই খাবার খেয়ে নেবে অথবা তাওয়াফের পরে খাবে।
আরও পড়ুন: সৌদি পৌঁছেছেন ২২২০৩ হজযাত্রী, ২ জনের মৃত্যু
তাওয়াফের দোয়া
اَللَّهُمَّ إِيْمَانًا بِكَ وَتَصْدِيْقًا بِكِتَابِكَ وَوَفَاءً بِعَهْدِكَ وَاتِّبَاعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مَحَمَّدٍ -صلى الله عليه وسلم
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার প্রতি ঈমান এনে, তোমার কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকার পূরণের জন্য তোমার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতের অনুসরণ করে এ তাওয়াফটি করছি।
]]>