১ সপ্তাহে আগে
৩
তিনি বলেন, আমরা মনে করি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এখনো হয়নি। আগের সিস্টেম রয়ে গিয়েছে। ফলে সেই সিস্টেমকে বিলোপ করে নতুন দেশ গঠনের লক্ষ্যেই এই নতুন পার্টি ও আমাদের কর্মসূচী। এনসিপির কার্যক্রম সারা দেশে চলছে। আপনারা আমাদের হাতকে শক্তিশালী করবেন। তরুণ এবং বিকল্প নেতৃত্বকে বেছে নিবেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এই জুলাই অভ্যূত্থানের ঘোষণাপত্র, মৌলিক সংস্কার, জুলাই গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধানের জন্য আমরা লড়াই করছি। অবশ্যই জুলাই ঘোষণাপত্র জুলাই-আগস্টের মধ্যে দিতে হবে।
বিএসএফের সীমান্ত হত্যা ও পুশইন বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে নাহিদ বলেন, এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা গণঅভ্যুত্থানের পরে ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পন্থিদের হাতেই বাংলাদেশ চলবে। ফলে যে কোনো মূল্যে আমরা সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবো।
আরও পড়ুন: এখন থেকে বাংলাদেশপন্থিরাই দেশ চালাবে: নাহিদ ইসলাম
উত্তরবঙ্গে ঠাকুরগাঁওসহ যে অবহেলিত জেলাগুলো রয়েছে এইসব জেলাতে কোন আঞ্চলিক বৈষম্য থাকবেনা, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবেনা। উন্নয়ন বলতে শুধু ঢাকা কেন্দ্রীক হবেনা। যেদিন এই অবহেলিত জেলাগুলোতে উন্নয়ন হবে। সেদিনই আমাদের কাছে উন্নয়ন গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, আমরা অভ্যুত্থানের সময় আগস্ট মাসে দেখেছি। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছে। তা দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাই আগামীর বাংলাদেশকে নতুনভাবে সাজাতে আবারো একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন: যদি মানুষ আবার রাজপথে নামে তাহলে কাউকেই ক্ষমা করা হবে না: নাহিদ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, আবু সাঈদ লিওন ও ঠাকুরগাঁও জেলার প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মুর্তজা সেলিমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
Bengali (BD) · 
English (US) ·