অপর মোটরসাইকেল থাকা আরোহী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তার সঙ্গে থাকা আরও ১০-১২ জন চারটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের সঙ্গে সাম্য এবং তার বন্ধুদের কথা-কাটাকাটি হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন সাম্যরা। দলটির প্রত্যেকে মারধর করতে শুরু করেন সাম্যদের। মারামারির এক পর্যায়ে সাম্যকে ছুরি দিয়ে জখম করে বসেন একজন। আহত হন দুই বন্ধুও।
এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত সাম্যের বন্ধু বায়েজীদ। তার ভাষ্যমতে, ওই দলটির কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নয়। তাই তাদের কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেননি তারা। কিন্তু একজনকে আটকে রাখা হয়েছিল। সাম্যর অবস্থার অবনতি হচ্ছে দেখে তারা তাকে সেখানে উপস্থিত লোকদের হাতে তুলে দিয়ে সাম্যকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকেও ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
দিবাগত রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাবি শিক্ষার্থী নিহত
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, ‘সহপাঠীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সহপাঠীরা জানান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে কথা কাটাকাটির জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’
নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ফখরুল আলমের ছেলে। সাম্য স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকও ছিলেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
]]>