অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বধে। তিনি বলেন, ‘আইসসিআরের দীর্ঘ পথচলা শুধু ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রচারের উৎসব নয়, এটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার গভীর সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের প্রতিফলনও বটে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সিলেটের মণিপুরি সম্প্রদায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘লাই হরোবা’ নৃত্য দর্শকদের মুগ্ধ করে। ভারতীয় প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই পরিবেশনা ভারত-বাংলাদেশের শেয়ার্ড হেরিটেজের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ভিসা জটিলতা নিরসনের চেষ্টা চলছে: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
এছাড়া আইজসিসির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল কত্থক, ভরতনাট্যম এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিশিষ্টজন, শিল্পী, শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতি অনুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন।
শুধু সাংস্কৃতিক বিনিময় নয়, শিক্ষা খাতেও আইসিসিআরের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে থাকে এই সংস্থা। বর্তমানে প্রতি বছর ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের সুবিধা পাচ্ছেন, যা দুদেশের মধ্যে এক দৃঢ় শিক্ষা ও মানবিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
]]>