ঢাকা অচল করে দেয়ার হুমকি বেসরকারি শিক্ষকদের

৫ দিন আগে
পাঁচ দফা দাবি আদায়ের জন্য বরগুনায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের আয়োজনে বরগুনা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির মধ্যমে ঢাকাকে অচল করার ঘোষণাও দেন তারা। 


মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই কারিকুলাম। বাংলাদেশের প্রায় ৯৬ ভাগ শিক্ষার্থীরাই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। কিন্তু সরকার চার ভাগ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে যে ব্যয় করেন তা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯৬ ভাগ শিক্ষার্থীদের জন্য করেন না। যা আকাশ পাতাল বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। প্রতিবছর সরকারিভাবে যখন বাজেট করা হয় তখন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য কেবল আশার বানী শোনানো হয় কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন হয় না।’


এ সময় উপস্থিত শিক্ষকরা প্রস্তাবিত পেস্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন, বছরে দুটি শতভাগ উৎসব ভাতা, ৫০ ভাগ বাড়ি বাড়া, ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, নন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি এমপিওভুক্ত এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ তহবিলের টাকা দ্রুত পরিশোধসহ মোট পাঁচ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।  

আরও পড়ুন: বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বিষয়ে আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি ও পাথরঘাটা মাদ্রাসার সুপার আবু জাফর মোঃ সালেহ বলেন, ‘গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল বর্তমান এই সরকার। কিন্তু এই সরকার যদি শিক্ষকদের বৈষম্যের মধ্যে রেখে সময়ক্ষেপণ করতে চায়, তাহলে পালানোর জায়গা পাবেনা। আমরা চাইনা শিক্ষকরা মাঠে ময়দানে নামুক, পুলিশের পিটানি খাক। আমরা এবার নেমেছি- দাবি আদায় করেই স্কুলে ফিরবো।’


প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সারা দেশের শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের নুন্যতম সম্মান দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করুন।  অন্যথায় দেশের শিক্ষকরা আগামীকাল ঢাকায় কর্মসূচি পালন করবে এবং সন্ধ্যার মধ্যে কোনো আশ্বাস না পেলে আমরা ঢাকাকে অচল করে দেব।  এছাড়াও দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলবে বলেও জানান তিনি।


বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক পরিষদের বরগুনা জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা আধ্যাপক মহিবুল্লা হারুন বলেন, ‘কোনো দেশ এবং জাতির উন্নয়ন শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন এবং অবহেলিত করে সম্ভব নয়। একটি দেশের নিম্ন পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত প্রত্যেককেই শিক্ষকদের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। এ কারণে শিক্ষকরাই হচ্ছে সবথেকে বেশি সম্মানিত ব্যক্তি। তবে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বাংলাদেশে শিক্ষকদের যথাযথ কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। বারবার শিক্ষকদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে যা দেশের জন্য একটি কলঙ্ক। আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ আগস্ট আমারা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু এখনও বৈষম্য থাকবে তা জাতির জন্য কাম্য নয়। বর্তমান সরকারের প্রতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বৈষম্য দূর করে শিক্ষকদের সম্মানিত করার আহ্বান জানাই।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন