সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে নগরীর শিকদার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন: সুফিয়া বেগম (৩৭) ও রুবি বেগম (৪৭)।
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে শপিং ব্যাগ বিক্রয়ের কথা বলে আক্কাস আলীকে জিরোপয়েন্ট মোড়ে ডেকে নেয় অপহরণকারী চক্র। সেখানে ব্যবসায়িক আলাপের কথা বলে তাকে একটি ভ্যানে তুলে শিকদার মার্কেটের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ভ্যানচালক চলে গেলে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক শিকদার মার্কেটের বিপরীতে রুবি বেগমের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে তারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ী অপহরণের ৩৬ ঘণ্টা, উদ্ধারের দাবিতে ধর্মঘট
মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করলে চক্রের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখাতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রাণের ভয়ে আক্কাস আলী এক লাখ ৭৮ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দেন। এরপর মুক্তিপণের অর্থ পেয়ে ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে তুলে সোনাডাঙ্গা বাইপাস রোডে কিছুদূর নিয়ে গিয়ে তাকে ছেড়ে দেন অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হরিণটানা থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৮ আগস্ট রাতে শিকদার মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ী অপহরণ: যুবদলের সাবেক সভাপতিসহ গ্রেফতার ৫
কেএমপি’র মিডিয়া সেল জানিয়েছে, গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভুক্তভোগী আক্কাস আলী শেখ বলেন, ‘ওরা আমাকে ছুরি-চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়েছে। একাধিকবার মারধরও করেছে। প্রাণ বাঁচানোর জন্যই টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি।’
এ বিষয়ে কেএমপি’র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘অপহরণের ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই পুরো চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’