বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় সফররত মার্কিন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আলোচনা হয়েছে নির্বাচন নিয়ে। সবাই তো জানতে চাচ্ছে, নির্বাচন কবে, আমরা কী চিন্তা করছি। আমরা বলেছি নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেও হতে পারে। যে সংস্কারগুলো নিয়ে ঐকমত্য হবে, সেটা ১৫-২০ দিন বা এক মাসের মধ্যে করে ফেলতে পারবে। এরপর যে সনদের কথা বলা হচ্ছে, ঐকমত্য হলে সেই সনদ স্বাক্ষর করা কোনো সময়ের ব্যাপার না। সুতরাং, তখন নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেয়ার কোনো কারণ নেই।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, একটা নির্বাচিত সরকারের আসার পরে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সহজে আসবে এবং জনগণের সমর্থনে যে সরকার থাকে তাদের সিদ্ধান্তগুলো নিতে সহজ হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টাকে লেখা বিএনপি মহাসচিবের চিঠিতে যা আছে
নির্বাচিত সরকারের পলিসি বিষয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা আরও বলেন, আমাদের পলিসি তারা (মার্কিন কূটনীতিক) জানতে চেয়েছে। বিএনপির পলিসি কী হবে, অর্থনৈতিক পলিসি কী হবে—সেগুলো আমরা বিস্তারিত বলেছি।
এছাড়া বৈঠকে মার্কিন ট্যারিফ বিষয়েও কথা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রথমত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে ট্যারিফের বিষয়টা উঠে এসেছে এবং ট্যারিফের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী চিন্তা করছে সেটা উঠে এসেছে। ট্যারিফের বিষয়টিকে টলারেবল অবস্থায় আনতে হবে। তা না হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়বে, এসব বিষয় আমরা বলেছি।
]]>