ডিপিএলে বড় জয় পেয়েছে আবাহনী, গুলশানের নাটকীয় জয়

১ সপ্তাহে আগে
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে বিশাল জয় পেয়েছে আবাহনী। মোসাদ্দেক হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। দিনের আরেক খেলায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় আবাহনী। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান জমা হতেই সাজঘরে ফেরেন জিসান আলম। ১৪ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন এই ব্যাটার। 

 

এরপর পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন তারা দুজন। তাদের ব্যাটে ভর করেই এগোতে থাকে দল। দুজনেই ফিফটির দেখা পান। 

 

ফিফটি ছুঁয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন ইমন। তাকে অবশ্য থামতে হয়েছে মাঝপথেই। ৭১ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন এই ব্যাটার। দলীয় রান তখন ১৫২। 

 

আরও পড়ুন: অমিতের সেঞ্চুরি ম্লান করে মোহামেডানের সহজ জয়

 

শান্ত অবশ্য থেমেছেন ফিফটির পরেই। ৭০ বলে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর ১৯ বলে ১৫ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন। ২৪ বলে ১৭ রান করেন মুমিনুল হক। 

 

শেষদিকে দলের হাল ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৩৭ রান। ৩০ বলে ১৪ রান আসে মাহফুজুর রাব্বির ব্যাট থেকে। ৯ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন রিপন মন্ডল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান সংগ্রহ করে আবাহনী। 

 

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। ৩ উইকেট নেন নাঈম আহমেদ। ১টি করে উইকেট শিকার করেন আরাফাত সানি এবং সৈয়দ খালেদ আহমেদ। 

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান যোগ হতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে প্রাইম ব্যাংক। একে একে বিদায় নেন টপ-অর্ডারের চার ব্যাটার সাব্বির হোসেন, শাহাদত হোসেন দিপু, সাজ্জাদুল হক ও জাকির হাসান। 

 

আরও পড়ুন: এবার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ তুললেন পারটেক্সের কোচ

 

৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে প্রাইম ব্যাংক। চাপের মুখে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন নাঈম শেখ। ফিফটি তুলে তিনি এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ৭৪ বলে ৭৩ রানের থামতে হয় তাকে। শেষ দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন শামীম হোসেন পাটওয়ারী। ২৬ বলে ৪০ রান করে বিদায় নেন বাঁহাতী এই ব্যাটার। দলীয় রান তখন ১৪১। 

 

এরপর আর কোনও ব্যাটার ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। ১৮ বলে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান মাহমুদ। মাত্র ৩২ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। আর তাতেই ১৩৩ রানের বিশাল জয় পায় আবাহনী। দলের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। ২ উইকেট নেন রাকিবুল হাসান। ১টি করে উইকেট শিকার করেন মাহফুজুর রাব্বি, জিসান আলম, এস এম মেহোরব হাসান এবং নাহিদ রানা। 

 

শাইনপুকুরের বিপক্ষে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৬ রানের শাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। 

 

এদিকে মিরপুর শের-ই বাংলার মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। আগে ব্যাট করতে নেমে  ১৭৮ রান সংগ্রহ করে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। মাঝারি রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে ১৭২ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ৬ রানে জয় তুলে নেয় গুলশান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন