ডিপিএলে বিতর্কিত আউট, ইচ্ছাকৃতভাবে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হলেন ব্যাটার!

১ সপ্তাহে আগে
৪৪তম ওভারের খেলা চলছে। লো স্কোরিং ম্যাচে শাইনপুকুরের জয়ের জন্য দরকার তখন ৬ রান, হাতে ১ উইকেট। নাঈম ইসলামের ওভারের প্রথম বলটা খেলতে বেরিয়ে এলেন মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির। অভিজ্ঞ নাঈমও বলটা ফেললেন ব্যাটারের নাগালের বাইরে। গুলশানের উইকেটকিপার ইমন উইকেটের বেলস ভাঙলেও সময় নিলেন অনেক। ওয়াইড বলে শাইনপুকুর পেল বোনাস একটা রান। অন্যদিকে তখন গুলশান ক্লাবের খেলোয়াড়রা আবেদন করছেন স্টাম্পিংয়ের। সন্দেহ দানা বাঁধছে ততক্ষণে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) মিরপুরে ডিপিএলের ৫৭তম ম্যাচের দৃশ্য এটি। লো স্কোরিং ম্যাচে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব আগে ব্যাট করে ৪১ ওভারে ১৭৮ রানে জুটিতে গেলে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল শাইনপুকুর। ১৪৪ রানে নবম উইকেট হারানো দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন শেষ ব্যাটার শরিফুল ইসলাম সৈকত। তার সঙ্গী উইকেটকিপার সাব্বির। দুজন ততক্ষণে জুটি গড়েছেন ২৯ রানের, যার মধ্যে ২২ রানই এসেছে শরিফুলের ব্যাট থেকে।


৪৪তম ওভারের প্রথম বলেই স্টাম্পিংয়ের শিকার হন সাব্বির। শাইনপুকুর অলআউট হয়েছে ১৭৩ রানে। গুলশান পেয়েছে ৫ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়।


কিন্তু শাইনপুকুরের শেষ ব্যাটার হিসেবে সাব্বির যেভাবে আউট হয়েছেন তা হজম করা কঠিন। তার স্টাম্পিং হওয়ার ধরণ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বলতে গেলে ইচ্ছাকৃতভাবে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন এই ব্যাটার। ফলে অনেকেই খুঁজে পাচ্ছেন ভিন্ন কিছুর গন্ধ।

নাঈম ইসলামের ওয়াইড ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বল মিস করেন শাইনপুকুরের উইকেটকিপার। উইকেটকিপার ইমন বল ধরে স্টাম্পিং করতে বেশ দেরি করে ফেলেছিলেন। ততক্ষণে সুযোগ পেয়েও বিস্ময়করভাবে ক্রিজে ব্যাট রাখতে ব্যর্থ হন সাব্বির। এ যেন ইচ্ছাকৃতভাবে উইকেট বিসর্জন!


আরও পড়ুন: ডিপিএলেও পারিশ্রমিক নিয়ে ক্রিকেটারদের অভিযোগ, ম্যাচ বয়কটের হুমকি


ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইমন স্টাম্পের বেলস ফেলে দেয়ার আগেই ব্যাট পপিং ক্রিজের দাগের ভেতরে রাখার সুযোগ এসেছিল তার সামনে। সে চেষ্টাও করেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কী ভেবে যেন দাগের বাইরেই ব্যাট রাখলেন। মাঠের আম্পায়ার সিদ্ধান্তের জন্য থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হলে রিপ্লে দেখে বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন সবাই।


 


বিস্ময়ে হতবাক ধারাভাষ্যকারও।  তারাও বুঝতে পারছিলেন না ব্যাটার কেন ব্যাট ক্রিজের ভেতরে রাখলেন না। সাব্বিরের বিদায়ের সঙ্গে পরাজয় নিশ্চিত হয় শাইনপুকুরের। ওপর দিকে ১১ নম্বরে নেমে ২০ বলে ১ আর ও ২ ছয়ে ২২ রান করা শরিফুল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন কাণ্ডকারখানা।


লো স্কোরিং ম্যাচে আগে ব্যাট করা গুলশান নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। ছয় নম্বরে নামা  শাকিব শাহরিয়ার ৫১ বলে ৩৮ রান করেন। এছাড়া ওপেনার জাওয়াদ আবরার ৩৭ বলে ৩৭ এবং ফরহাদ রেজা ২৮ বলে ২২ রান করেন।


শাইনপুকুরের পক্ষে নিওন ইয়াসিন জামান ৩টি, রহিম আহমেদ ২টি উইকেট শিকার করেন।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নির্বাচকদের চেয়ে টমেটো বিক্রেতাও দল নির্বাচন ভালো পারবে


শাইনপুকুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে শাহরিয়ার সাকিবের ব্যাট থেকে। মইনুল ইসলাম তন্ময় ২১, শরিফুল ২২, রহিম ও নিওন ১৮ রান করেন।


গুলশানের পক্ষে নিহাদুজ্জামান এবং আজিজুল হাকিম ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। তবে এই ম্যাচের জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় সাব্বিরের স্টাম্পিং। অনেকেই পাচ্ছেন ফিক্সিংয়ের গন্ধও। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন