বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এদের। আক্রান্ত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে ডেনিম ভিনটেজ (এ্যাবা), নাকানো ইন্টারন্যাশনাল বিডি এবং আরও কয়েকটি কারখানার কর্মী।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইপিজেডে খাবার ও পানি গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই শ্রমিকদের মধ্যে বমি, পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানার উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। প্রথমে কয়েকজন হালকা অসুস্থতা অনুভব করায় ছুটি নিয়ে লালপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি চলে যান। তবে সন্ধ্যা থেকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে এ পর্যন্ত ৫৮ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অনেকে বাড়ি ফিরে গেলেও গুরুতর অবস্থায় অন্তত ৪০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, মৃত্যু ১
এ বিষয়ে এ্যাবা কারখানার শ্রমিক সিয়াম রেজা বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কাজের ফাঁকে ইপিজেড এলাকার সরবরাহ করা পানীয় পানি (স্লালাই) খেয়েছিলাম। এরপর থেকেই পেট ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়।’ নাকানো ইন্টারন্যাশনালে কর্মরত অভিষেক কুমারও একই অভিজ্ঞতা জানান।
হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে গিয়ে চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবা তাসনিম বলেন, ‘শ্রমিকদের খাবার বা পানিতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্যজনিত বিষক্রিয়ার কারণেই তাদের ডায়রিয়া, বমি ও পেট ব্যথা দেখা দিয়েছে।’