এলজিইডি সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। নিয়ম না থাকলেও পরে স্থানীয় এক ঠিকাদারের কাছে কাজটি হস্তান্তর করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আর সেই কাজটি জেলার রানীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বড় নুনতোর গ্রামের ভিতর দিয়ে দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাঁকাকরণের কাজ শুরু করেন স্থানীয় এক ইট ভাটার মালিক আবু সাইদ। কাজটি বাস্তবায়নে নিজের ইটভাটার সবচেয়ে নিম্নমানের ইট এনে সড়ক নির্মাণ করছেন। এতে ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রা।
প্রায় মাস খানেক ধরে এমন অনিয়ম চলমান থাকলেও কার্যত পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। অজ্ঞাত কারণে কাজ চলছে নিম্নমানের ইট দিয়েই।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষকের মৃত্যু
ওই এলাকার নুর ইসলাম, ধনিবুল্লাহ, আনোয়ার হোসেনসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, প্রথমে নিম্নমানের বালু যেখানে মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার করেছে ঠিকাদারের লোকজন। বাধা দিলে মানেনি। এখন নিম্নমানের খোয়া ফেলছে রাস্তায়। যেগুলো হাত দিয়ে ভাঙা যাচ্ছে। এভাবে রাস্তা পাঁকাকরণ হলে দেড় দুই বছর পর আবার নষ্ট হয়ে যাবে। জানা গেছে ঠিকাদার কাজটা আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আর সে কারণে কোনো রকমে তড়িঘড়ি করে কাজ বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
কয়েকবার ঠিকাদারের ট্রলি আটকে দিয়েছিল গ্রামবাসী। নিম্নমানের খোয়া ফেলতে দেয়নি। তখন নিম্নমানের খোয়া না ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে আরেক প্রান্তে ফেলে যায়। এরপরে রাতের আঁধারে সব খোয়া ফেলেছে ঠিকাদারের লোকজন।
এ কাজের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার জানালেও তিনি কর্ণপাত করেননি। পরবর্তীতে উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমানকে জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেননি।
এই সুযোগে কাজ বাস্তবায়নের নামে সরকারের লাখ লাখ টাকা তারা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে কাজ বাস্তবায়নের সাথে জড়িত আবু সাঈদ বলেন, আমি কি কাজ করছি তা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ অবগত। খারাপ কাজ মনে হলে ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে রাতের আঁধারে ড্রেন নির্মাণ
কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান স্বীকার করে বলেন, কাজে অনিয়ম হচ্ছে, নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।
প্রকৌশলী আনিছুর রহমান জানান, কাজটি অনেক দূরে এবং ৩ দিন অফিস ছুটি থাকায় দেখাশোনা করা সম্ভব হয়নি। তবে খোঁজ খবর নেয়া হবে। অনিয়ম বা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হলে তা খতিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস বলেন, কাজ ভালো না হলে ঠিকাদারের বিল বন্ধ করে দেয়া হবে। বিষয়টি জেনেছি। তা খতিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>