বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির সামনে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর করে।
পুলিশ জানায়, সকাল ১১ টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিষ্ঠানের সামনে কর্মসূচি পালন করছিল শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক অবরোধ করে। বিকেল তিনটার পর শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে সড়কে পুরোপুরিভাবে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এসময় পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীরদের শান্ত করে ক্যাম্পে ফিরে আসার পর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা আবারও সড়ক অবরোধ করে যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে নিজেরাই শান্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানে ফিরে যায়।
আরও পড়ুন: এবার ‘রেল ব্লকেড’র ডাক পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। সড়কে সব রকম যানবাহন চলাচল করছে। তবে কর্মসুচি পালনের সময় যানবাহন কেনো ভাঙচুর করা হলো সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো:
হাইকোর্টের রায়ে অবৈধভাবে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি পাওয়া ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের রায় বাতিল করতে হবে। সেইসঙ্গে পদবি পরিবর্তন ও মামলার সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করে উন্নতমানের চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিচু পদে নিয়োগ বন্ধ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সড়কেই জোহরের নামাজ আদায় করলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবলকে নিষিদ্ধ করে পরিচালক, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন পদে কারিগরি শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
পৃথক ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা ও কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের এ দাবির প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও সমর্থন দেখা গেছে। আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।