মিলটির দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা জানান, আগুনের সূত্রপাত জেনারেটর কক্ষ থেকে। সেখানে কয়েকটি মেশিন রয়েছে। পাশেই পাট ও পাটের তৈরি পণ্যও ছিল। হয়তোবা শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও পরে আরও দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে কালো ধোঁয়া চারিদিকে ছেয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কাজ করতে দেখা যায়। এ অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে একটু বিলম্ব হয়। তবে এক ঘণ্টার মধ্যেই পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সিআরবি মালিপাড়া বস্তিতে ভয়াবহ আগুন
জুট মিলটিতে আগুন লাগার ঘটনাকে ভিন্নভাবে দেখছেন স্থানীয়রা, স্থানীয়দের অভিযোগ, এই জুট মিলটিতে দু’এক বছর পরপরই আগুন লাগে। এখনো পর্যন্ত কয়েকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
কারণ জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, কয়েক কোটি টাকা সরকারের কাছে ঋণ নিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ। আর তা মওকুফের জন্যই এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিজেরাই ঘটিয়ে থাকেন। সে কারণে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা যেন সঠিক তদন্ত করেন এমনটাই দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জুট মিলে ভয়াবহ আগুন
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সাহিদুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করে। এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর বলা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও।