মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপির এক প্রতিবেদন মতে, সম্প্রতি ট্রাম্পের পরিবেশ সংক্রান্ত নীতির সমালোচনা করে একটি চিঠিতে গণস্বাক্ষর করেছিলেন ইপিএ-র ওই কর্মীরা। গত সপ্তাহে চিঠিটি প্রকাশ্যে আসে। তারপরই চিঠিতে স্বাক্ষর থাকা ১৩৯ জনকে ছুটিতে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইপিএ-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতি বলা হয়েছে, যদি কোনো আমলা অন্যায়ভাবে সরকারি নীতির বিরোধিতা করেন, তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। চিঠি লিখে জনমানসে বিভ্রান্তি তৈরি তৈরি করার জন্যই ১৩৯ জন কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
প্রতিবেদন মতে, চিঠিতে সই রয়েছে ইপিএ-র বর্তমান কর্মীদের পাশাপাশি অনেক সাবেক কর্মীরও। যদিও প্রকাশ্যে আনা চিঠিতে কর্মীদের নামগুলো ঊহ্য রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র বিরোধিতার পরও কংগ্রেসে পাস ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, পরিবেশনীতির তোয়াক্কা না-করেই ট্রাম্প প্রশাসন দূষণকারীদের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। আরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে ট্রাম্প যে নির্দেশনামায় সই করেছিলেন, তারও বিরোধিতা করা হয়েছে।
ইপিএ যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর গবেষণা চালায়। সেই অনুযায়ী তারা সরকারকে কোনো প্রস্তাব বা পরামর্শ দিতে পারে। সম্প্রতি সংস্থাটির কাঠামোয় একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে।
সংস্থাটির গবেষণা সংক্রান্ত শাখাটিকে বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গবেষণা খাতে কয়েক কোটি টাকার অনুদান বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
]]>