শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে কাহালুর দরগাহাট ও গাবতলীর সুখানপুকুর এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার কাহালু উপজেলার বুড়ইল গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে অটোরিকশাচালক শাহীনুর রহমান (৪০), অটোরিকশার যাত্রী একই উপজেলার ভাগদূর্গা গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০) ও তার মেয়ে হুমাইরা খাতুন (৭) এবং গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘির কালাইহাটা গ্রামের যুবায়ের হোসেনের স্ত্রী রেশমী খাতুন (২৫)।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে অটোরিকশাচালক শাহীনুর রহমান যাত্রী ফারুক হোসেন, তার স্ত্রী জুলেখা খাতুন ও তার মেয়ে হুমাইরাকে নিয়ে উপজেলার বিবিরপুকুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দরগাহাট এলাকায় রেডিও স্টেশনের সামনে বগুড়া-নওগাঁ সড়কে পৌঁছালে রিকশার এক্সেল ভেঙে রাস্তায় পড়ে গেলে পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের পিষ্ট করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বগুড়া কারাগারে আরও এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
পরে কাহালু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর তিনজনসহ চারজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিকশাচালক শাহীনুর রহমান, যাত্রী ফারুক হোসেন ও তার মেয়ে হুমাইরা মারা যান। ফারুকের স্ত্রী জুলেখা খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল জানান, শনিবার সকালে যুবায়ের হোসেন তার মোটরসাইকেলে স্ত্রী রেশমী খাতুনকে নিয়ে বালিয়াদীঘি থেকে সুখানপুকুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার সুখানপুকুরের চামুরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে রেশমী খাতুন রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় পেছন থেকে আসা সোনাতলাগামী বালুবাহী ট্রাক তাকে পিষ্ট করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত চারজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
]]>