উচ্চ আদালতের দেয়া ৬ সপ্তাহের গ্রেফতারের নিষেধাজ্ঞার আদেশের পর নিম্ন আদালতে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ডক্টর আতোয়ার রহমান জামিন নামঞ্জুর করে সাইফুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাইফুল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পূর্ব টুঙ্গিপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী মোল্লা ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটের দিকে টুঙ্গিপাড়ার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজে সামনের দোকানগুলোতে আওয়ামী লীগের লোকজন লিফলেট বিতরণ করলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি সাব ইন্সপেক্টর মো. রাব্বী মোরছালিন বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০১ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০০ থেকে ৪৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। শিক্ষক সাইফুল ইসলাম এ মামলার ৬২ নাম্বার আসামি।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় আত্মসমর্পণ করে যুবলীগ নেতা কারাগারে
সাইফুলের সহধর্মিণী সামছুন্নাহার লাকী বলেন, আমার স্বামী একজন শিক্ষক। তিনি ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ। আমরা দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে প্রায় ১০ বছর গোপালগঞ্জ শহরে বসবাস করছি।
পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের রাতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় নয় গোপালগঞ্জ শহরে অবস্থান করছিলেন। এ মামলায় তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি আমার স্বামীর মুক্তি দাবি করছি।