টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতার

৩ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর দাবি উঠছে। এবার টিউলিপকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ।

রোববার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ বলেন, ‘কেয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।’

 

ব্রিটেনের বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।’

 

বিবিসি বলছে, টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের পরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এই মন্তব্য করেন।

It’s time for Keir Starmer to sack Tulip Siddiq.

He appointed his personal friend as anti-corruption minister and she is accused herself of corruption.

Now the Government of Bangladesh is raising serious concerns about her links to the regime of Sheikh Hasina. https://t.co/qkOBJ4CtCZ

— Kemi Badenoch (@KemiBadenoch) January 11, 2025

সম্প্রতি ড. ইউনূস সানডে টাইমসকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেয়া লন্ডনের সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এছাড়া সম্প্রতি টোরি এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

 

আরও পড়ুন: টিউলিপের চাচি ও চাচাতো বোনকে নিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন

 

যদিও টিউলিপ সিদ্দিক কোনো ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি দাবি করেন, ‘আমি কোনো ভুল করিনি।’

 

ব্যাডেনোচ বলেন, ‘সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন।’

 

তিনি আরও বলেন, এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার (সাবেক) সরকারের সাথে তার (টিউলিপের) যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

 

আরও পড়ুন: দ্য টাইমসের প্রতিবেদন / টিউলিপকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য সরকার

 

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ৯ জানুয়ারি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন।

 

ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তারা সপ্তাহান্তে যুক্তরাজ্যের এই ট্রেজারি মন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন এমন প্রার্থীদের চিহ্নিত করেছেন বলেও জানা গেছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন