টানা কয়েকদিনের তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি

১ সপ্তাহে আগে
টানা কয়েকদিনের তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে জনজীবনে প্রশান্তি। ঝড় আর বৃষ্টিতে পাল্টে যেতে থাকে চুয়াডাঙ্গার গুমট আবহাওয়া। কয়েকদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপদাহ অব্যাহত ছিল। ভ্যাপটা গরমে অতিষ্ট হয়ে ওঠে জনজীবন।

 বিকেল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ঝড়ো বাতাস আর বৃষ্টি শুরু হয়।
একপসলা বৃষ্টিতে প্রকৃতিতে প্রাণ ফিরে পায়। নিমিষেই কমে যায় গরম। হাঁসফাঁস অবস্থায় ছিল জনজীবন। সূর্যের প্রখরতার কাছে অসহায় হয়ে পড়ে সব বয়সের মানুষ।


গরমের কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় মানুষ ঘরের বাইরে তেমন একটা বের হতো না। কয়েক দিনের প্রতীক্ষার পর বৃষ্টির দেখা মিলল।


চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, টানা কয়েকদিনের তাপ প্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৫৪ শতাংশ। এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন: তীব্র গরমের পর অবশেষে টাঙ্গাইলে স্বস্তির বৃষ্টি

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ঝড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টি শুরু হতে থাকে। বৃষ্টি নামার সাথে সাথে গরম কমতে থাকে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করে।


চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আনিসুজ্জামান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা অনেক বেশি। গরমে খুব কষ্ট হচ্ছিল। বাইরে চলাচল করা সম্ভব হচ্ছিল না গরমের কারণে। বৃষ্টি শুরু হলে গরম কমতে থাকে। একপশলা  বৃষ্টিতে গরম কেটে গেছে।


জীবননগর উথলি গ্রামের হাসান বলেন, সূর্যের প্রখরতার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম অনেকদিন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও চুয়াডাঙ্গাতে বৃষ্টির দেখা মিল ছিল না। কষ্টে দিন যাপন করছিলাম। আজকের বৃষ্টিতে প্রশান্তি নেমে এসেছে। আবহাওয়া শীতল হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন