ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাই খারাপ হয় রংপুরের। রিস টপলি, তানজিম হাসান সাকিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টপ অর্ডার ব্যাটারদের কেউই তেমন রানের দেখা পাননি। মিডল অর্ডারে নুরুল হাসান সোহান এবং ইফতিখার আহমেদ হাল ধরলে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় দলটি।
রংপুরের দুই বিদেশি ওপেনার স্টিভেন টেইলর এবং অ্যালেক্স হেলস প্রথম ২ ওভারে ২১ রান নিয়ে দারুণ শুরুর আভাসই দিয়েছিলেন। তবে তৃতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে মাত্র ১ রান দিয়ে তাদের চাপে ফেলেন রিস টপলি। চাপ কাটাতে চতুর্থ ওভারে বড় শট খেলতে যান হেলস। তবে তানজিম সাকিবের বলে বড় শট খেলতে ব্যর্থ হয়ে লং অফে ক্যাচ দেন তিনি।
পরের ওভারে সাইফ হাসান আউট হয়েছেন বাউন্ডারিতে রনি তালুকদারের দুর্দান্ত এক ক্যাচের বদৌলতে। স্টিভেন টেইলরও আউট হন একই ওভারে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
আরও পড়ুন: বিপিএলে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড অঙ্কনের
২৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন ইফতিখার আহমেদ এবং খুশদিল শাহ। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৪১ রানের জুটি গড়েন। সেট হওয়ার পর বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খুশদিল। তাতে রানের গতি আরও কমে।
খুশদিলের বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন ইফতিখার। সোহান ২৪ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেও ইফতিখারের ব্যাট চলেনি সেভাবে। শেষদিকে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদী। তাতে রংপুরের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১৫৫। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৪ বলে ৪৭ রান করেছেন ইফতিখার।
]]>