ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে

৩ সপ্তাহ আগে
একটি মাত্র সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের বাসিন্দারা। গত ১৬ বছর ধরে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহালেও, তা নিরসনে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। সময় সংবাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ঈদের পর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের মকরম খালের দুপাশের ভল্লবপুর, কাশিপুর, রাংশিনপুর, বাকপাড়াসহ আরো কয়েকটি গ্রামকে সংযোগ করেছে এই একটি মাত্র সেতু। সেতুটি দিয়ে কৃষি নির্ভর অন্তত ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। মানুষের যাতায়াতে কষ্ট লাঘবে ২০০৯ সালে খালের উপর ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮ ফুট সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু; নির্মাণের পর থেকে কখনও এই সেতুর সুফল ভোগ করতে পারছেন না গ্রামবাসী।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতু নির্মাণ হলেও, দুপাশে নেই কোন সংযোগ সড়ক। গ্রামবাসী মিলে সেতুতে উঠতে বাঁশের পাটাতন দিলেও, মাঝে মধ্যেই ভেঙ্গে পড়ে। অযন্ত অবহেলায় এরই মধ্যে ভেঙ্গে গেছে সেতুর রেলিংসহ বিভিন্ন অংশ। ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা: যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে বাড়ছে যানবাহনের চাপ

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের পর সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি কোনো কাজেই আসেনি। তাও আবার সেতুটি নির্মাণের কয়েক বছর পরই ভেঙ্গে গেছে। কোনো সংস্কারও করা হয়নি। এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটলেও আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। আমরা দ্রুত সংযোগ সড়কসহ নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।’


দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, ‘এবারের বন্যায় অনেক সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সব তালিকা করছি। সংশ্লিষ্ট দফতরের মাধ্যমে আশাকরি দ্রুতই ভালো কিছু হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন